রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা: নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে বিজেপি (BJP)-পুলিশের (Police) খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মঙ্গলবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশকর্তাকে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মার আন্দোলনকারীদের। আর এই ঘিরেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চরমে বাগযুদ্ধ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, তাঁর সামনে হামলার ঘটনা ঘটলে, সরাসরি মাথায় গুলি করতেন তিনি।                                                     
  
এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, "বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দর বেশি। উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? তাহলে গুলি করার কথা বলেন কিভাবে? এই পুলিশ ভবানীপুর থানায় টেবিলের তলায়, আলমারির পিছনে লুকিয়ে পরে। ফালতু বকওয়াস করবেন না। আপনাদের দম জানা আছে। এত লুঠপাট, কারুর টিকির নাগাল পেয়েছেন? গুলি চালাবেন? এত হিম্মত? কালীঘাটে ডায়লগ দেবেন। বাইরে আসবেন না।"                                


আরও পড়ুন, বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকাণ্ডে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার


এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর নাম প্রতিষ্ঠিত বাংলার রাজনীতিতে, প্রকাশ্যে তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বাংলার তথাকথিত যুবরাজ, তিনি আগামী দিনে যেটা তৈরি করবেন, সেই তৃণমূলের পুলিশ মানুষের মাথা লক্ষ্য করে, কপাল লক্ষ্য করে গুলি করবে। আজ তিনি তার আভাস দিয়েছেন। ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ এটাকে ইংরেজিতে বলা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বাংলাকে উপহার দেবেন।" প্রসঙ্গত, হাত ভেঙে SSKM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। 


সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ছোট তো অনেক! পিসির কর্তৃত্বে বড় হচ্ছে। কড়া কথা বলতে পারব না আমি। পিসিকে জিজ্ঞেস করুক। পিসির সবচেয়ে বড় ঘনিষ্ঠ যুবনেতা এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছে। বামেদের দিকে না তাকিয়ে, আয়নায় দেখুন।"