বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তার আগেই প্রার্থীতালিকা (BJP Announces Candidate List) ঘোষণা করল বিজেপি। নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা।


কী হল?
নন্দীগ্রামের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হয়েছে ৩টি পঞ্চায়েত সমিতিরও। এদিন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল এদিন প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, হলদিয়া ডক ইন্সটিটিউটের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সাগরদিঘি মডেলের জয়জয়কার হয়েছে গত কাল। খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল ও বিজেপি। ১৯টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয় বাম-কংগ্রেসের প্রগতিশীল জোট। তৃণমূলের পরাজয়ে খুশি, প্রতিক্রিয়া বিজেপির। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। ১৯ আসনের হলদিয়া ডক ইন্সস্টিটিউটের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে, সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC)। প্রার্থী দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (BMS)। কিন্তু, একটি আসনেও খাতা খুলতে পারল না তারা। গত শুক্রবার, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যপুলিশ দিয়ে ভোট হয়। শনিবার সকাল থেকেই নজর ছিল ফলাফলের দিকে। 


রাজনৈতিক তরজা:
হলদিয়া বন্দরের (Haldia Port) সিটু (CITU) নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, 'সাগরদিঘি মডেলকে সামনে রেখে জোট করেছিলাম। ১৯টিতেই জয়ী। জনবিরোধী সরকার।' তৃণমূলের হারের ঘটনায় খুশি হয়েছে বিজেপি। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলেন, 'সিটু জিতেছে কিছু বলার নেই। তৃণমূল হেরেছে এতে খুশি।' যদিও এই জয়কে কোনওরকম আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। এমন ভোটের কোনও ফল পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না বলেই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ সরকার বলেন, 'অশুভ জোট। বন্দরের ভোটে শ্রমিকদের চাওয়া পাওয়াই দেখা হয়। পঞ্চায়েতে প্রভাব পড়বে না।' ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ডক ইন্সটিটিউট তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির (INTTUC) দখলে ছিল। এবার সেখানে জোটের কাছে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। এর আগেও বেশ কিছু সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয় পেয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। এখন, সাগরদিঘি মডেলের প্রভাব কি পড়বে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)?  এদিকে হালেই ফের বেসুরো শুনিয়েছে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে তৃণমূল নেত্রীর কাছে পাঠাব। সবকটি নামে অনুমোদন দিতে হবে। না হলে নির্দল হিসেবেই আমার প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে। যাঁরা কাজ করবে তাঁদেরই প্রার্থী করব, ধান্দাবাজদের নয়।'


আরও পড়ুন:'সুযোগ পেলে পার্টির ছেলেদের এখনও আমরা চাকরি দিই', উদয়নের মন্তব্যে ফের বিতর্ক!