কলকাতা: ব্যক্তিত্বহীন বলে খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্তকেই আক্রমণে অনুপম হাজরা। ‘দো আঁশলা লোক নিয়ে সংগঠন করা খুব মুশকিল। রাজ্য সভাপতির মধ্যে সেই ব্যক্তিত্ব থাকা দরকার, যে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন’। বৃহস্পতিবার এই সুরেই সরাসরি সুকান্তর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার আক্রমণ করলেন অনুপম হাজরা। বৈদিক ভিলেজে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক না পাওয়ার পরে বিস্ফোরক অনুপম।


এ দিন তিনি বলেন, ‘এই মানসিকতা চলতে থাকলে, আবকি বার ২০০ পার বলতে গিয়ে ৭৭-এই আটকে যাবে। পদাধিকারীদের চেয়ে যাদের পদ নেই, তাদের পিছনে বেশি লোক। বাইরের লোক নিয়ে বোলপুরে র‍্যালি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বাইরে থেকে লোক না এনে উচিত ছিল আমাকে জানানোর। নিজে বিরাট কিছু না করতে পারলে কেন অন্যের সহযোগিতা নিতে ক্ষতি কী? অনুপমের প্রশ্ন, ‘বাঙালি কাঁকড়ার জাত হয়ে আর কতদিন থাকবে? সংগঠনের কেউ উপরে উঠলে, টেনে নামাবো, এরকম চললেই ৭৭-এই আটকে যাবে। ‘অনেকে গুড বয় সাজে, সোজা কথা সোজাভাবে বলতে পারে না।’


এর আগে বোলপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মিছিলের দিনেই আক্রমণ করেন খোদ বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির 'ইস্যু' কাজে লাগাতে না পারার অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। অনুপম হাজরা বলেন, ‘বীরভূমে জমি তৈরি, ইস্যু ঘিরে ফসল ফলানোর সেরা সময়। তাও আমি থাকার সময় কোনও আন্দোলন নয় কেন? কোনও পদাধিকারীর দেখা পেলাম না। কিন্তু পদে নেই এমন বহু মানুষ দেখা করলেন, ইস্যুটি নিয়ে কথা বললেন। আন্দোলনে নামতেও তৈরি জানাতে পিছপা হলেন না।’


পাশাপাশি দলের মধ্যেই ‘বিভীষণ’ থাকার অভিযোগে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। তাঁর অভিযোগ, ‘বীরভূমে যারা পদে, তাদের মধ্যে অনুব্রত নিয়ে উৎসাহ নেই। বীরভূমে ঘরের শত্রু বিভীষণ থাকলে, খুঁজে বের করে ফাঁস করব। কারণ নিজের মাটিতে কোনও বাঁদরামো বরদাস্ত করব না। অনুব্রত মণ্ডলের মত অত্যাচারী নেতা গ্রেফতার হয়েছে। সেটা ইস্যু করে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার জমি তৈরি, এখন যদি মাঠে না নামেন, তাহলে আর কবে নামবেন।’


যার পরই অভিযোগের সুর চড়িয়ে অনুপম হাজরার সংযোজন, 'খবর পাচ্ছি তৃণমূলের পয়সায় নাকি দু-একজন নেতার সংসার চলে। যদি এমনটা হয়ে থাকে' তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। আমার সাধ্যমতো তাঁর যাবতীয় তথ্য সামনে আনব।'