কলকাতা: ফের একবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপির অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। ব্রিগেডে গীতা (Geeta) পাঠ চলাকালীনই নিজের দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক লিখলেন, 'গীতা পাঠে যোগ দেওয়ার জন্যেও টাকা তোলার হয়েছে। চোর মুক্ত বিজেপি (BJP) চাই'। ব্রিগেডে গীতা পাঠ চলাকালীনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার। 


এ দিন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার !!! শেষ পর্যন্ত "লক্ষ্য কণ্ঠে গীতা পাঠ" - এখান থেকেও দুর্নীতি, টাকা উপার্জন !!! ??? হায়রে - এরা আদৌ হিন্দু !!!??? অবশ্য সংগঠনের কাছের লোক হলে শত চুরি এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন পরিবর্তন হবে না, উল্টে মেয়াদকাল আরো বাড়তে পারে !!! আর কতদিন যে "চোর মুক্ত বিজেপি চাই" বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে !!!????' শুধু তাই নয়, পোস্টে ট্যাগ করে নরেন্দ্র মোদিসহ শীর্ষ নেতৃত্বকেও। 



ব্রিগেডে আজ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, যা নিয়ে শুরু থেকেই অব্যাহত তরজা। এই আয়োজনে ভিআইপি কার্ড বিলি ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছেন অনুপম। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছিল রেজিস্ট্রেশন। শোভাযাত্রা করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী। শঙ্খধ্বনির পর মূল অনুষ্ঠান শুরু। পড়া হয় গীতার ৫টি অধ্যায়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। ব্রিগেড চত্বরে হাজির হন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাধু-সন্তরাও।


লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের জন্য গোটা ব্রিগেড ময়দানকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতি ব্লকে ৫ হাজার জন করে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডে তৈরি হয়েছিল বিশাল মঞ্চও। যার নাম রাখা হয় পার্থসারথি। দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে মঞ্চকে। বড় মঞ্চটি উঁচু। সেখানে বসেছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী, পুরীর মন্দিরের দ্বৈতাপতি-সহ সাধু-সন্তরা। বড় মঞ্চের নিচে ছোট মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। গীতা পাঠে গলা মেলান ইমান আলি শেখ এবং ফরেজ লস্কররাও। 


একদিকে যখন বিশেষ বার্তায় এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তখনই গীতা পাছ নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন বিজেপি কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তুললেন 'চোর' প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করেন। এর আগেও দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হয়েছেন তিনি। বারবার চোর মুক্ত বিজেপি চেয়েও তার একাধিক পোস্ট চোখে পড়েছেন স্যোশাল মিডিয়াতে। সব মিলিয়ে