রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রহস্যজনক (mystery) ভাবে নিখোঁজ (missing) বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি (booth president)। ময়নাগুড়ির (maynaguri) দোমহনির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। নিখোঁজ বুথ সভাপতির নাম জগদীশ রায়। শনিবার দুপুরে ময়নাগুড়ি থানায় জগদীশ রায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর ভাই মঙ্গলু রায়।
কী ঘটেছিল?
ময়নাগুড়ির দোমহনি ১৬/৪৯ বুথের সভাপতি জগদীশ রায়ের মেয়ে লাটাগুড়িতে থাকেন। পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে বেরিয়েঠিলেন জগদীশ। কিন্তু অনেকক্ষণ কেটে গেলেও লাটাগুড়ি পৌঁছননি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। জগদীশ যেখানে যেতে পারেন, সেই সমস্ত জায়গায় গত দুদিন ধরে খোঁজখবর করেন পরিজনরা। কিন্তু হদিস মেলেনি। অবশেষে শনিবার দুপুরে ময়নাগুড়ি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার নেপথ্যে তৃনমূলের রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুলি থানার পুলিশ। ঘটনাচক্রে, গত দেড় দিন ধরে নিখোঁজ বীরভূমের নানুরের তৃণমূল বুথ সভাপতিও।
কী ঘটেছে বীরভূমে?
প্রায় দেড়দিন পার। এখনও নিখোঁজ নানুরের সিধাইয়ের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ বাবুলাল। ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এদিন নানুরের বাসাপাড়া ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল নেতার পরিবার ও গ্রামবাসী। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না বলে তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগ। এখনও হদিশ নেই বীরভূমের নানুরের তৃণমূল নেতার। কোথায় গেলেন? কী ঘটল? চরম দুশ্চিন্তায় একশেষ পরিবার। শুক্রবার বিকেল প্রায় ৪টে। বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন, বীরভূমের নানুরের সিধাইয়ের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ বাবুলাল। তারপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ নেই। তৃণমূল নেতার স্ত্রী’র দাবি, রাত ৮টা নাগাদ, তিনি স্বামীর মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু ফোন বেজে বেজে কেটে যায়। রাত ১০টা নাগাদ, পুলিশ ফোন করে জানায় সিধাই থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে বাঁশপাড়ার কাছে, টিকুড়ি মোড়ে রাস্তার পাশে উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোন ও বাইক। নিখোঁজ তৃণমূল নেতা স্ত্রী বাদামি বিবি বলেন, বাইক নিয়ে বের হয়। আর খোঁজ পাইনি। পুলিশ ফোন করে বলল নম্বরটা কার। বললাম। বলল, এর মোবাইল ফোন আর বাইক পড়ে। যদিও নিখোঁজ তৃণমূল নেতার বোন ডলি বিবি বলেন, দাদার তো শত্রু নেই। কী হল বুঝতে পারছি না। তবে কি অপহৃত হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা ? না অন্য কোনও রহস্য ? শনিবার নানুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তৃণমূল নেতার পরিবার। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কার্যত এক প্রশ্ন দানা বাঁধছে জলপাইগুড়িতে বিজেপি বুথ সভাপতির অন্তর্ধান নিয়েও।
আরও পড়ুন:নৈহাটির শিবদাসপুরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু !