উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও রুমা পাল, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (Dhupguri By Election Result) ভোটগণনায় এগিয়ে বিজেপি। প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়ের থেকে বিজেপি এগিয়ে ১৫৬৪ ভোটে। প্রথম রাউন্ডের শেষে বিজেপি পেয়েছে ৮ হাজার ৮৯২ ভোট। প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ৩২৮। কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৩১০। 


কোন দিকে?
এখনও অবশ্য অন্তত ৮ রাউন্ড গণনা বাকি। ফলে ছবিটা যে কোনও মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। তবে বিজেপি একপ্রকার নিশ্চিত, যে এই আসন তারাই। অন্য দিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, শেষমেশ হাসি হাসবে তারাই। সেই ভরসাতেই সবুজ আবির মাখতে রাজি হয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে ব্যবধান কমেছে বিজেপির। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে ১০১৮ ভোটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে বিজেপি পেয়েছে ১৮ হাজার ১৬৫ ভোট। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১৭ হাজার ১৪৭, কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৭৯। 


টুকিটাকি...
আপাতত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। শুধুমাত্র অবজার্ভারের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে বলে খবর। গণনার ফল সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর ও বাকি সব কিছু খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচন কমিশনের সাইটে আপলোড করা হবে। এই উপনির্বাচনে ৭৮.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। পাশাপাশি যে নিরাপত্তায় ভোট হয়েছিল, সেটিও মাথায় রাখছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী বছর লোকসভা ভোটেও এই মডেল অনুসরণ করার চেষ্টা করা হবে। ভোটগণনার জন্য সকাল ৯টা থেকে একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূল গৌতম দেব। এই উপনির্বাচনকে যে তৃণমূল অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট। কিন্তু কেন? শিলিগুড়ির মেয়রের কথায়,  'সিরিয়াস হতেই হয়েছে। এটি আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দিকনির্দেশ করবে। ডু অর ডাই সিচুয়েশনে ভোট করতে হয়েছে।' সঙ্গে আরও দাবি, সার্বিক ভাবে উত্তরবঙ্গে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটই হয়ে থাকে। আর ফলাফল? বিশদ ব্যাখ্যা করে যেটা বোঝালেন তার অর্থ একটাই। শুধু শহরের দিক নয়, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ৯টা অঞ্চল রয়েছে সেগুলিই গুরুত্বপূর্ণ। 


আরও পড়ুন:জি২০ সম্মেলনের সাফল্য কামনায় গোয়ালিয়র ঘাটে গঙ্গাপুজো রাজ্যপালের