কলকাতা: জি২০ সম্মেলনের (G-20 Summit) সাফল্য কামনা করে গোয়ালিয়র ঘাটে (Gwalior Ghat) গঙ্গাপুজো করলেন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Interim VC)। ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা। আগামিকাল, শনিবার দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। তার আগে জি-২০ সম্মেলনের সাফল্য কামনা করলেন সিভি আনন্দ বোস। এরই পাশাপাশি, বাংলার মঙ্গল কামনায় গোয়ালিয়র ঘাটে দাঁড়িয়ে গঙ্গা বন্দনা করলেন রাজ্যপাল।


কী বললেন?
'নতুন, মহৎ কিছু করার আগে আমারা মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিয়ে থাকি। জি-২০ শীর্ষবৈঠকে ভারত নিজের সেরাটা তুলে ধরতে পুরোপুরি তৈরি। সে জন্য মা গঙ্গার আশীর্বাদ জরুরি। এই জি-২০ শীর্ষবৈঠক গোটা দেশের জন্য, বাংলার জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত এতে যে নব ভারত, নব বাংলার সূচনা হতে চলেছে, তা আরও উদ্দীপনার কথা। সে জন্য আমাদের জোটবদ্ধ হতে হবে, মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিতে হবে। উন্নয়নের পথে নিরন্তর এগিয়ে যেতে হবে, ঠিক যে ভাবে মা গঙ্গা এগিয়ে গিয়েছেন। সেই জন্য়ই, এই অত্যন্ত জরুরি মুহূর্তে ওঁর আশীর্বাদ জরুরি।' আর একদিন পরই শুরু হচ্ছে জি-২০ শীর্ষবৈঠক। সেই উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে রাজধানী। আন্তর্জাতিক এই ইভেন্টে অতিথি আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না মোদি সরকার। সূত্রের খবর, স্থির হয়েছে খোদাই করা রুপোর এবং সোনার পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হবে অতিথিদের। রুপোর পাত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বেশিরভাগ পাত্রে ইস্পাত বা পিতলের বেস বা রুপোর মিশ্রণ রয়েছে। পানীয় পরিবেশনের জন্য সোনার প্রলেপ দেওয়া পাত্র ব্যবহার করা হবে। যেসব বাসনপত্র প্রতিনিধিদের পরিবেশনে ব্যবহার করা হবে, গত কাল তার একটি ভিডিও শেয়ার করে সংবাদ সংস্থা ANI। ফুটেজে, বিভিন্ন ধরনের রুপোর ও সোনার পাত্র দেখা যায়। এই নিয়ে গোটা দেশেই যখন উত্তেজনা-উৎসাহ তুঙ্গে, তখন একাধিক  বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের সঙ্গে বাংলার রাজ্যপালের এই গঙ্গাপুজো আলাদা করে নজর কেড়েছে।


সংঘাত...
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে ইতিমধ্যেই চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষক দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, 'হঠাৎ মধ্যরাতে যাদবপুরের উপাচার্য বদল হয়ে গেল। একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে করে দেওয়া হল রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য। পুরো ব্যবস্থাকে অচল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোনও বিশ্ববিদ্যালয় যদি রাজ্যপালের কথা শুনে চলে আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। দেখব রাজ্যপাল কীভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেন। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।' তার কয়েক ঘণ্টা পর, মধ্যরাতে ফের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। শুধু তাই নয়। গত কাল, সোমবার কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির জবাবও দেন তিনি। সঙ্গে জানান, প্রতিবাদ করার থাকলে, তা রাজভবনের ভিতরে এসে জানানো উচিত। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়ে তাঁর গঙ্গাপুজো।


আরও পড়ুন:'আমাদের ভাতা বৃদ্ধি নয়, আশাকর্মী থেকে সিভিক, সমকাজে সমবেতন পাক' বার্তা শুভেন্দুর