কলকাতা : বিজেপির ( BJP ) প্রথম তালিকায় দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh ) নাম না থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাঁকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকেই প্রার্থী করা হবে তো? প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও নিজের কেন্দ্রেই পড়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই কেন্দ্রও দিলীপের হাতে রইল না। একে একে রাজ্য় সভাপতি, তারপর সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদও হারিয়েছেন দিলীপ। এবার লোকসভার লড়াইয়েও তাঁকে ফেলা হল নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। 


২০১৬ সালে প্রথমবার ভোটে লড়েই, খড়গপুর সদরে কংগ্রেসের ১০ বারের বিধায়ক জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়ে 'জায়েন্ট কিলার' হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ! তারপর মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রথমবার পা রেখেছিলেন লোকসভায়। দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রেকর্ড ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তারপর অবশ্য় একে একে রাজ্য় সভাপতি, সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ হারিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই জোর জল্পনা যে বঙ্গ রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষ এখন কিছুটা কোণঠাসা। বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেখা গেল, দিলীপের জেতা কেন্দ্র থেকেই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুরের পোক্ত জমি থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। 


বিজেপির জন্য কেমন এই কেন্দ্র? কতটা কঠিন বা সহজ পিচ পাবেন দিলীপ ঘোষ ?  বর্ধমান-দুর্গাপুর এমন একটা আসন, যেখানে ২০১৯ সালে আড়াই হাজারেরও কম ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্ঘমিতা মমতাজ ১ লক্ষ ৭ হাজার ৩৩১ ভোটে জয়ী হন। তৃতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। সেবারের বিজেপি প্রার্থী পান প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট। শেষ বিধানসভা ভোটে ( ২০২১ ) এই লোকসভার অন্তর্গত সাতটি আসনের মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তাই লড়াই হতে পারে চোখে চোখ রেখে। এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে যেমন আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ, তেমনই গত বিধানসভা ভোটের ফলে আত্মবিশ্বাসী  তৃণমূলও। সোমবারই দিলীপ ঘোষকে শূন্য রানে আউট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কীর্তি আজাদ। পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিলীপও। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে তপ্ত হতে শুরু করেছে দুর্গাপুরের মাটি। এই কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ তাঁর নিজের ক্যারিশ্মা দেখাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।              


আরও পড়ুন :


দিলীপকে ঘিরে দুর্গাপুরে কর্মী-সমর্থকদের ঢল ! মঙ্গলের সকালেই 'চায়ে পে চর্চা'য় চ্যালেঞ্জ দিলীপের