সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুরভোটের আগে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কাঁথি ও ভাটপাড়ার পুরসভার ২৪ জন বিজেপি প্রার্থী। খুনের হুমকির পাশাপাশি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারী প্রার্থীরা। কাঁথি পুরসভার ২১ জন প্রার্থী ও ভাটপাড়া পুরসভার ৩ জন প্রার্থীকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামীকাল মামলার শুনানি।
শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুকে বিজেপিকে রুখতে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কাঁথি পুরসভায় ভোট লুঠের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। একটি নোটিস তুলে ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। কমিশন সূত্রে খবর, যে নোটিস ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা খারাপ হয়ে যাওয়া ইভিএমের জন্য। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি পুরসভায় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে কাঁথির মহকুমাশাসক এবং রিটার্নিং অফিসারের নামাঙ্কিত একটি নোটিসকে রাজ্য নির্বাচনে কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার ইস্যু করা ওই নোটিসে, কাঁথি পুরসভার ভোটে সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে দেড়শোটি ইভিএম সিল না করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, পুরভোটের আবহে তৃণমূল পরিচালিত পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ একাধিক সদস্যের নামে কাটমানি-পোস্টার, লিফলেট। পাঁশকুড়া নাগরিকবৃন্দের নামে ওই পোস্টার, লিফলেটে বেআইনিভাবে INTTUC-র জায়গা বিক্রির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। দাবি পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের। তৃণমূলের দাবি, পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। শাসকদলকে পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খোঁচা গেরুয়া শিবিরের।
অন্যদিকে, পুরভোটের আগে নিজের শহরে প্রচারে সুকান্ত মজুমদার। এদিন বালুরঘাটে নিজের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু চৌধুরীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দেখে ভোট দেবেন, প্রলোভনে পা দেবেন না, ভোটারদের কাছে আবেদন সুকান্ত মজুমদারের।