বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলকে (TMC) হারাতে ফের সমবায় সমিতির ভোটে জোট বাঁধছে বিজেপি-সিপিএম (BJP-CPIM)। নন্দকুমার, মহিষাদলের পর তমলুকে, একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জোট প্রার্থীরা। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।                                                                                              



নন্দকুমার মডেলকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও একবার সমবায় সমিতির ভোট যুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছে বাম-বিজেপি জোট। এবার, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গাঠরা কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাম-বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। খারুই গাঠরা সমবায় সমিতিতে মোট আসন ৪৩। সূত্রের খবর, বিজেপি প্রার্থী দিচ্ছে ২৭টিতে, আর বামেরা লড়ছে ১৬টি আসনে। অন্যদিকে, তৃণমূল ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।                       


মঙ্গলবার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ৪ ডিসেম্বর খারুই গাঠরা সমবায় সমিতির ভোট। শাসকদলকে হারাতে আসন সমঝোতা সেরে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। রবিবার, খারুই-গঠরা সমবায় বাঁচাও মঞ্চের ব্যানারে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়, এলাকার বাম ও বিজেপি নেতাদের।                                       


আরও পড়ুন, রোজগার মেলা প্রকল্পে প্রায় ৭১ হাজার সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মোদি


দু’সপ্তাহ আগে নন্দকুমারে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়, বাম ও বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চ। ৬৩ আসনের একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। কিন্তু মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে কাজে আসেনি সেই কৌশল। ৭৬টি আসনের মধ্যে ৬৮টিই দখল করে শাসকদল। বাম ও বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চের ঝুলিতে যায় মাত্র ৮টি আসন। তমলুকের খারুই গাঠরা সমবায় সমিতির ভোটে কী হবে? জানা যাবে ৪ ডিসেম্বর।