কলকাতা: নাড্ডার সফরেও বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) অস্বস্তি প্রকাশ্যে। রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে ডাক পাননি বলে দাবি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Raju Banerjee)। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (Raju Banerjee)। বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজু। উল্লেখ্য, আগেই দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


নাড্ডার বঙ্গ সফর: উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) অসন্তোষের মধ্যেই ২ দিনের সফরে রাজ্যে জে পি নাড্ডা। আজ প্রথমে চুঁচুড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বন্দে মাতরম ভবনে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এখান থেকে তিনি যান চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেবেন নাড্ডা।


আগামিকাল সকাল ৯টায় যাবেন বেলুড় মঠে। দুপুর ২টোয় সায়েন্স সিটিতে রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর সোয়া ৪টে নাগাদ কলামন্দিরে কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতা। আগামীকাল সন্ধে ৬টার বিমানে দিল্লি ফিরবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 


গতকাল কলকাতা বিমানবন্দরে নাড্ডাকে স্বাগত জানায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে রাতেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী।


সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। চিঠি দিয়ে বলা হল, তাঁর কিছু মন্তব্যে রাজ্য নেতারা ক্ষুব্ধ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিব্রত। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে দলীয় সহকর্মীদের সম্পর্কে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতেও পরামর্শ দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষ এখনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছিলেন। তবে এ নিয়ে সহানুভূতির মোড়কে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। 


প্রথমে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা। তারপর সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শক্তিশালী বুথ গঠনের দায়িত্ব দেওয়া। বিজেপির এই দুই পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠেছিল, দিলীপ ঘোষকে কি বাংলায় নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে?


দিলীপকে সেন্সর: এই প্রেক্ষাপটেই এবার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ক্ষোভের কারণ দেখিয়ে
দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, আপনার কিছু বিবৃতি এবং বিস্ফোরক মন্তব্যে রাজ্য নেতারা ক্ষুব্ধ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিব্রত। আপনি সতর্ক হবেন, এই আশায়, বিজেপি নেতৃত্ব একাধিকবার আপনাকে বিষয়টি জানিয়েছে। 


সম্প্রতি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এবং অন্যান্য  মঞ্চে আপনি খোলাখুলি রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করেছেন। এতে দলের ক্ষতি হবে এবং আপনার অতীতের পরিশ্রমই বিফলে যাবে। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে থাকা নেতার এধরনের মন্তব্যে দলের মধ্যেই অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।