ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বাবুঘাটে (Babughat) বিজেপির (BJP) গঙ্গা আরতি কর্মসূচির (Ganga Arati) অনুমতি নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে উত্তেজনা, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে লালবাজারে নিয়ে গেল পুলিশ (Police)। বিজেপির তরফে গঙ্গা আরতি কর্মসূচি করার কথা জোরের সঙ্গে বলা হলেও তাদের অনুমতি নেই বলেই জানায় পুলিশ।
বিজেপি কাউন্সিলর তথা নেতা সজল ঘোষ দাবি করেন, সেনাবাহিনীর থেকে অনুমতি পেলেও গঙ্গা আরতি করতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বচসা বাধে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের। পুলিশ অনুমতি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলে বাড়ে তর্কাতর্কি। তারপরই তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন কেন তাঁকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে বলে বারবার জানতে চান সজল ঘোষ। পাশাপাশি তিনি লালবাজারে যাবেন না বলেও বারবার বলতে থাকেন। যদিও তাঁর কোনও কথাই কানে তোলেনি পুলিশ। কলকাতা পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কিছুটা আগেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এরাজ্যের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মীয়, রাজনৈতিক অধিকার।
এর আগে গঙ্গা আরতির সাউন্ড বক্স ও বিদ্যুৎসংযোগ খুলে নেয় পুলিশ। তারপরেই বাবুঘাটে পৌঁছোন সজল ঘোষ। বিজেপি নেতাকে লালবাজার নিয়ে যাওয়ার পর গঙ্গা আরতির মঞ্চও খুলে নেয় পুলিশ। গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন, অনুমতি না মিললেও আরতি হবে। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল, তাদের দাবি, মমতাকে দেখে কর্মসূচি, সবকিছুতেই রাজনীতি ।
আরও পড়ুন- বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস 'বয়কট' হাইকোর্টের আইনজীবীদের সংগঠনের
মকর সংক্রান্তির আগে মঙ্গলবার বাবুঘাটে গঙ্গা আরতির জন্য পুলিশের অনুমতি চায় বিজেপি। আগামী ১৪-১৫ তারিখ গঙ্গাসাগরে মকরসংক্রান্তির পুণ্যার্থীদের ভিড় থাকবে। সেই উপলক্ষ্যেই বাবুঘাটে এখন থেকেই জন সমাগম হচ্ছে। এর জন্য ভিড়ের কারণ দেখিয়ে কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, জি ২০ সম্মেলনের জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, সেই কারণেই বিজেপির কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। বলা হয় , গঙ্গাসাগর মেলার পরে বিজেপিকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এতে চিঁড়ে ভেজেনি। বিজেপিও সিদ্ধান্ত থেকে নড়বে না বলেই জানিয়েছে।