বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : বিচারপতির ( Justice Rajasekhar Mantha ) বাড়ির সামনে পোস্টার, এজলাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন দিয়ে সোমবার শুরু। মঙ্গলবারও জারি রইল টানটান উত্তেজনা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সামনেই এজলাসে ভিতরে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা এজলাসে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভপন্থী এক আইনজীবী বলেন, বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাই বিচারপতি মান্থা যেন কোন বিরূপ নির্দেশ না দেন।
আরও পড়ুন :
গাড়িতে বিপদে পড়লেই প্যানিক বাটন টিপে লালবাজারে পাঠানো যাবে বিপদ সঙ্কেত ! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
বিক্ষোভের নিশানায় বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে ( TMC ) ধারালো আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh ) । বললেন, 'তৃণমূল সেটিং করতে না পারায় বিচারপতির ঘরের সামনে ধর্না দিচ্ছে। বিচারপতিকে ভয় দেখাচ্ছে, বয়কট করছে, পোস্টার দিচ্ছে।
নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থাকেও ছাড়ছে না তৃণমূল। সাধারণ মানুষ এখানে বিচার পাবে আশা করা যায় না। রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।' বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পোস্টার প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বহুদিন আগে থেকেই বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হয় তৃণমূলের তরফে। শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা থেকে, কাঁথি শ্মশান দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ। গত কয়েক মাসে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রায় ও পর্যবেক্ষণে, বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়া নিয়ে, ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে আক্রমণ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, ' শুভেন্দু অধিকারী বেপরোয়াভাবে পুলিশকে আক্রমণ করছেন। পুলিশকে মানছে না। আইনশৃঙ্খলাটা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছে এবং কালকেও সেই মানসিকতা দেখা গেছে এবং এর জন্য দায়ী ওয়ান অ্যান্ড ওনলি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা। আই রিপিট, এর জন্য় রেসপন্সিবল ওয়ান অ্য়ান্ড ওনলি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা।' তবে সেটাই প্রথম নয়। এর আগে বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েও। আক্রমণের সুর ধাপে ধাপে চড়ছিল অনেকদিন থেকেই।
অন্যদিকে আবার এবার হাইকোর্টের OC-কে তলব করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়ান। কেউ এজলাসে আসতে চাইলে তাকে যেন বাধা না দেওয়া হয়। যাঁরা আসতে চান, তাঁরা যেন এজলাসে ঢুকতে পারেন। যাঁরা আসতে চান না, সেটা তাঁদের বিষয়। হাইকোর্টের OC-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।