কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নিত্যদিন চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষরা (Dilip Ghosh)। এবার মিছিল করে গিয়ে বেহালা ম্যানটনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক কার্যালয়ে গঙ্গাজল ছেটালেন বিজেপি কর্মীরা।


নিয়োগ বিতর্কে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ইস্যুতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বেহালা শীলপাড়া থেকে বেহালা চৌরাস্তা পর্যন্ত মিছিল করল বিজেপি। সেখানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলের পথে বেহালা ম্যানটনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক কার্যালয়ে গঙ্গাজল ছেটালেন বিজেপি কর্মীরা।


আরও পড়ুন ; 'ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়েকে শিক্ষিকার চাকরি' পরেশের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা ? প্রশ্ন সুকান্তর


শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ-অর্পিতাকে। আর সেখানেই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধে। জোকা ইএসআই পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জোর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ঢোকার মুখে এদিকে যখন তুমুল উত্তেজনা, হুইলে চেয়ারে বসেই বিস্ফোরক দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মুখ খোলেন, ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ক্ষণিকের মধ্যে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আর এনিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানতে চান, 'পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? কান্নাকাটি করে বাঁচা যাবে না।'


কী বলছে বিজেপি ?


সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই সিবিআই-ইডি-র তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্য়েই সবকিছু বলা শুরু করেছেন ইডি-র কাছে। এতদিন ধরে চলে আসা সেই তদন্তে শক্তপোক্ত প্রমাণের অভাবে তা ধীর গতিতে এগোচ্ছিল। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর আর পালানোর পথ নেই।
 
এপ্রসঙ্গে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, 'হেফাজতে থাকা লোকের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। যেহেতু বিধায়ক পদ থাকছে, তাই হয়তো ভাবছেন জামিন পেয়ে গেলে যদি ফিরে আসতে পারি।'