অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : মোদির রাজ্য সফরের আগের দিনই ফের পদ্ম শিবিরে ধাক্কা। বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর পর এবার বিজেপি ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম। ব্যক্তিগত কারণে দলীয় সদস্যপদ ছাড়তে চান বলে জানিয়ে চিঠি লিখলেন ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতিকে। প্রথম দফার প্রার্থীতালিকায় ঝাড়গ্রামের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
২০১৯ সালে প্রথমবার বিজেপির টিকিটে লড়ে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা সোরেন টুডুকে প্রায় ১১ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন কুনার হেমব্রম। এর আগে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম আসনে জিতেছিলেন তৃণমূলের উমা সোরেন। ১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কাছ থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। যদিও একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভাই দখল করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটেও জঙ্গলমহলের এই জেলায় খারাপ ফল হয়েছে বিজেপির। হারবেন জেনেই সরে দাঁড়িয়েছেন কুনার হেমব্রম, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
দলের একাংশের বক্তব্য, শারিরীক ভাবেও কিছুটা অসুস্থ কুনার হেমব্রম। তাঁদের দাবি, এবার যে তার টিকিট পাওয়া সম্ভাবনা কম সেটা বুঝতে পেরে কুনার এই ইস্তফা পত্র দিয়েছেন। যদিও কুনার হেমব্রম একেবারেই ব্যাক্তিগত রেখেছেন দল ছাড়ার কারণ। তিনি শুধু বলেছেন, 'সেরকম বলার সেরকম কিছুই নেই, তবে ব্যক্তিগত কারণেই আমি দলের কাজ থেকে সরে যেতে চাইছি। অব্যাহতি চাইছি।' তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতি আমি করতে চাইছি না। আমার অনেক সামাজিক কাজও আছে'
গত বুধবার তাপস রায় যোগ দেন বিজেপিতে। এর ঠিক পরদিনই রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ভাঙন বিজেপি ছাড়েন। ধরেন তৃণমূলের পতাকা। বৃহস্পতিবার তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। নারী দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার, পথে নামেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মিছিলে একেবারে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পাশেই হাঁটতে দেখা যায় মুকুটমণি অধিকারীকে। যদিও মুকুটমণির দলত্যাগকে বিশেষ আমল দেয়নি বিজেপি। কিন্তু এবার সাংসদের দল-ছাড়া কি লোকসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা প্রমাণিত হতে পারে বিজেপির কাছে ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Abhijit Ganguly: নজরে নির্বাচন, প্রার্থী হিসাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু