কলকাতা: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। তার মধ্যেই জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন উথালা পাতাল, সেই সময় অনুব্রতকে কটাক্ষ করে আস্ত কবিতা নামিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অনুব্রত হাজরা (Anupam Hazra)। একসময় যাঁকে ঘিরে থাকত সবাই, চারপাশে এখন শুধু ইডি-সিবিআই বলে কটাক্ষ করেছেন অনুপম।


ইডি-র হাতে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই কবিতা লিখলেন অনুপম


গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বৃহস্পতিবার আসানসোল (Asansol) জেলে গিয়ে অনুব্রতকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর পর জেলেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুক্রবার তোলা হবে আদালতে। সেই নিয়ে যখন শাসকদলকে একযোগে বিঁধছেন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আস্ত কবিতা পেড়ে ফেললেন অনুপম। ছড়ার আকারে লেখেন-


'এক সময় প্রচুর ক্ষমতা


কারণ, মাথার উপর মমতা!!!


দিদিমণির নয়নের মণি


টাকা পয়সার খনি!!!


পুলিশকে মারা হবে বোমা


তা সত্ত্বেও পুলিশই প্রায় চাইল ক্ষমা!!!


কিন্তু সময় বড় শক্তিশালী


সে তুমি যত  বড়ই হও না প্রভাবশালী!!


সময় কাউকে করে নাকো মাফ


বাপেরও থাকে বাপ!!!


এক সময় ঘিরে থাকত সবাই


এখন শুধু ইডি আর সিবিআই!!!


এক সময় চড়াম-চড়াম আর গুড়-বাতাসা


এখন জীবন জুড়ে শুধুই হতাশা!!!'


আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case : গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রতকে গ্রেফতার ইডি-র


বৃহস্পতিবার  অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতকে জেরার জন্য ৪ পাতার প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিল মূলত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত। যেমন - তাঁর নামে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী? অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা জমা পড়ল কোথা থেকে? এর সঙ্গে কি গরু পাচারের টাকার কোনও যোগ আছে? 



জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, তার পরই গ্রেফতার অনুব্রতকে


ইডি সূত্রে দাবি, এ দিনের জেরার উদ্দেশ্য ছিল গরু পাচারের টাকা অনুব্রতর কাছে এসেছে কি না এবং সেই টাকায় বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, সেবিষয়ে তথ্য জোগাড় করা। ইডি-র আরও দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারি তাঁদের জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে যা নথি আসত, তিনি শুধুমাত্র অডিট করে দিতেন। কিন্তু ইডি সূত্রে দাবি, এদিন জেরায় অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি কিছু জানেন না। যা বলার বলতে পারবেন মণীশ।  তাতে ইডি-র মনে হয়,অনুব্রত মণ্ডল তথ্য গোপন করতে চাইছেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত বয়ানের কপিতে সই করতেই ইতস্তত করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।