সুমন ঘড়াই, কলকাতা: গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি। চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, ভাঙনের ফলে ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। চাষের জমি, বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাগর্ভে (River Erosion)। অবস্থি খতিয়ে দেখতে জলশক্তি মন্ত্রককে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।


গঙ্গা-পদ্মা ভাঙান নিয়ে মোদিকে চিঠি দিলেন মমতা


বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত মোট তিন পাতার চিঠি মোদিকে পাঠিয়েছেন মমতা। তাতে গঙ্গা এবং পদ্মার ভাঙনই মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে। মমতা জানিয়েছেন, এ নিয়ে জলশক্তি মন্ত্রককে আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে সুরাহা হয়নি, তার ইঙ্গিত মিলেছে মমতার চিঠিতে। এতে বাংলার প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, গঙ্গা এবং পদ্মা নদীতে ভাঙনের ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে বাংলার। বিশেষ করে, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে প্রচুর চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বাস্তুভিটে, বাস্তুজমি, ঘর-বাড়ি সব তলিয়ে যাচ্ছে। তাতে প্রবল ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে ওই তিন জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 



আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case : গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রতকে গ্রেফতার ইডি-র


ফুলহারা নদীর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা। নদীর ভাঙনে দুই জেলার মধ্যেকার দূরত্ব লাগাতার কমছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ভাঙনের ফলে জাতীয় সড়কও প্রভাবিত হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে,ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিঘ্নিত হবে কৃষিকাজ। জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। 


নদীর ভাঙনে বাংলার অসীম ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা


চিঠিতে মমতা আরও জানিয়েছে, বাংলা নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত রাজ্য। ফারাক্কা ব্যারেজ তৈরির লক্ষ্যই ছিল যে, গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক জল ভাগীরথী-হুগলি নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলা।  তাতে কলকাতা বন্দরের নাব্যতাও বজায় থাকত। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে নদীগর্ভের নাব্যতা কমে যাচ্ছে। তাতে জল উপচে পড়ছে। ভাঙন ধরছে নদীর পাড়ে। শুধু বাংলা নয়, নদীপথে সংযুক্ত বিহারেও একই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন মমতা।


নদীর ভাঙন নিয়ে এর আগেও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। বর্ষার সময় প্রতি বার বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, নদীর পলি সরানোয় নিঃস্পৃহ কেন্দ্রীয় সরকার। নদীর পাড়ের ভাঙন রোখার কথা জানিয়ে বার বার চিঠি দিলেও কাজ হয়নি। এ বার সরাসরি তা নিয়ে মোদিকে চিঠি দিলেন তিনি।