বীরভূম: দিল্লিযাত্রা আটকে গিয়েছে শেষ মুহূর্তে। নিজের গড় বীরভূমেই ফিরে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তা নিয়ে রাজনৈতিক তাপ-উত্তাপ বাড়ছেই। এ বার নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অনুব্রতকে তিহাড়ে রাখার কথার পরামর্শ শোনা গেল তাঁর মুখে (Cattle Smuggling Case)।
নাম না করে অনুব্রতকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার প্রকাশ্য সভা থেকে অনুব্রতকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, "বীরভূমের বাঘকে খাঁচায় রেখেছে সিবিআই। এর পর তিহাড় জেলে গেলে দিল্লির মানুষও খাঁচাবন্দি বাঘকে দেখতে পাবে।"
এর আগে প্রকাশ্য সভায় অনুব্রতকে 'বীরভূমের বাঘ' বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জবাব দিতে গিয়ে দিলীপকে এ দিন পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তিনিও। ফিরহাদ বলেন, "অনুব্রতকে নিয়ে দিলীপ ঘোষের এত মাথা ব্যথা কেন? কাল কেউ দিলীপদার নাম বলে, উনি গ্রেফতার হবেন? নাম বললে গ্রেফতার হয় না, প্রমাণ লাগে। দিল্লি নিয়ে যাবে কি যাবে না, এত আগ্রহ কেন। সবাই আইনি লড়াই লড়তে পারেন। তিহাড়ে থাকলে জিতে গেলাম, আসানসোলে থাকলে হেরে গেলাম, এমন কিছু আছে কি! এত আগ্রহ কেন?"
আরও পড়ুন: Dev Adhikari: মিঠুন রয়েছেন বলেই কি! নন্দনে ব্রাত্য 'প্রজাপতি', আক্ষেপ দেবের
গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই মতো আদালত থেকে অনুমোদনও জোগাড় করে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু ওই দিনই অনুব্রতকে পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ, যেখানে একবছর আগে অনুব্রত গলা টিপে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন বলে পুরনো অভিযোগে মামলা করেন তৃণমূলেরই এক কর্মী। তাতে বিরোধীররা অভিযোগ করেন যে, তৃণমূলই পুরনো অভিযোগ খুঁচিয়ে তুলে অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা আটকে দিল।
দুবরাজপুর হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সকলকে শুভেচ্ছা জানান অনুব্রত
সেই আবহে শনিবার দুবরাজপুর হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সকলকে শুভেচ্ছা জানান অনুব্রত। গায়ে শাল জড়িয়ে তিনি যখন বেরোচ্ছেন, সেই সময় তাঁকে ছেঁকে ধরে সংবাদমাধ্যম। সেই সময় অনুব্রত বলেন, "নতুন বছর ভাল যাক। প্রত্যেকের ভাল হোক। উপকার হোক সকলের। বীরভূম এবং গোটা রাজ্যের মানুষের ভাল হোক।" দলের কর্মী এবং সমর্থকদেরও শুভেচ্ছা জানান অনুব্রত।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেও, বরাবরই অনুব্রতর পাশে থেকেছে তৃণমূল। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। ফিরহাদ, শতাব্দী রায়রাও তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বার বার।