কলকাতা: ‘কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতি গাড়িতে কলকাতায় (Kolkata) আসেন?’ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Moandal)লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে মামলা। কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) দায়ের জনস্বার্থ মামলা। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে মামলা। ‘কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বীরভূম থেকে কলকাতা এলেন অনুব্রত?’ প্রশ্ন তুলে মামলা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির।
এখন কেমন আছেন অনুব্রত? সোমবারও তাঁর আইনজীবীর দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই CBI দফতরে যেতে পারছেন না অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএম থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সেখানে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। পরে আইনজীবী দাবি করেন, শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। তাই ফের চিকিত্সকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গেই আইনজীবীর দাবি, সিবিআইয়ের কাছ থেকে নতুন কোনও মেল আসেনি। তিনি জানান, ' বুকে ব্যথা প্রচণ্ড, দুটো আর্টারি ব্লকেজ, শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়েছে, কালকের পর থেকে শরীর আরও খারাপ, সিবিআই নোটিস পাঠালে দেখা যাবে, সিবিআই এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সহযোগিতা করব।'
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলাতেও সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে হাজিরা এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। শনিবারের থেকেও বেশি অসুস্থ রয়েছেন তিনি, জানালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির আইনজীবী। রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় ইমেল। অনুব্রতর গরহাজিরা নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। শনিবার গরুপাচার মামলায় ষষ্ঠবার তলব পেয়েও, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেননি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। আর রবিবার, রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলাতেও, CGO কমপ্লেক্সে গেলেন না তিনি।
'ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে': এর আগে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA ) স্বপন মজুমদার দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে উডবার্নে ওয়ার্ডে। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মন্তব্য করায় বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল।
৬ এপ্রিল গরুপাচার মামলায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পঞ্চমবারের জন্য তলব করেছিল CBI। কিন্তু সেদিন শেষমুহূর্তে, নাটকীয়ভাবে, নিজাম প্যালেসের দিকে যেতে যেতেও আচমকা SSKM হাসপাতালের দিকে ঘুরে যায় তাঁর গাড়ি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানেই ভর্তি থাকেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, ' আমার তো মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে (অনুব্রত মণ্ডলকে) আর ফিরতে দেবেন না। তার কারণ যদি ফিরতে দেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি অনুব্রত মণ্ডল উগরে দেবে সিবিআইয়ের কানে। '