দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বজবজের পরে ডায়মন্ড হারবার, ফের বিক্ষোভের মুখে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সরিষায় কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে 'গেরুয়া' বাহিনীর বিক্ষোভ। মাথায় গেরুয়া টিকা, গেরুয়া উত্তরীয় পরে গো ব্যাক স্লোগান। গেরুয়া পোশাকের আড়ালে তৃণমূলের বিক্ষোভ, দাবি সুকান্তর।'দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার, বিড়ম্বনার মুখে তৃণমূলের নাম', গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই বিক্ষোভের মুখে সুকান্ত, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
আরও পড়ুন, 'বাংলা দখল BJP করতে চায় না..' ! মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর
গেরুয়া উত্তরীয় পরে এক যুবক নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি জানিয়ে বলেন,' নরেন্দ্র মোদিজির আহ্বানে আমরা দলটা করতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে আমরা কেউ ঘরছাড়া, মার খাচ্ছি, এভাবেই আমাদের চলতে হচ্ছে। কিন্তু কোনও নেতা আমাদের সঙ্গে নেই। আজকে ভারতীয় জনতা প্রার্টির ডায়মন্ডহারবার বিধানসভায়, যে দীপক হালদার আছেন, তাঁকে শুধু শুভেন্দু অধিকারী আসলেই দেখা যায়। এছাড়া মাঠে ময়দানে তাঁকে দেখাই যায় না। তো এইভাবে যদি রাজনীতিটা হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব ? আজকে উপরতলার নেতানেত্রীরা সব তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে দল চালাচ্ছে। আজকে সেই কারণেই আমাদের বিক্ষোভ ছিল। ..আমরা সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে একটু কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময়টুকু আমাদের দেওয়া হল না। আমি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ডায়মন্ডহারবার সাংগাঠনিক জেলা সহ সভাপতি ছিলাম। এখন আমি কোনও পদে নেই। কিন্তু আমরা দলের সাথে রয়েছি। '
অপরদিকে এই ঘটনার পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের এটা নতুন পলিসি হয়েছে, মিথ্যে কথা। রাজু দাস বলে সামনে থেকে যে ছেলেটি নেতৃত্ব দিচ্ছিল, সে ২০২১ সাল অবধি বিজেপি করত। ২০২১ সালে রীতিমত পতাকা ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে জয়েন করেছিল।..দেখুন কৌশল একটাই, এর আগে যখন আমরা বজেবজে গিয়েছিলাম, তখন হয়েছিল, প্রথম ধাপ। বোঝাই যাচ্ছে, এটা স্টেপ বাই স্টেপ এগোচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন শুধু গেরুয়া ফেটি , মাথায় গেরুয়া তিলক দিয়ে তাঁরা তখন বিজেপি বলেনি কিন্তু.. তখন ছিল হিন্দু ! আর এবার একস্টেপ এগিয়ে বলছে আমরা বিজেপি। পুরোবিষয়টাই তৃণমূলের প্ল্যানিং অনুসারে হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: কোনও ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে সুকান্ত মজুমদারকে ?
সুকান্ত মজুমদার: সুকান্ত মজুমদারকে টার্গেট করবে না তো কাকে করবে ? যে গাছে ফল থাকবে, সেই গাছেই ঢিল মারবে লোকে।