উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত আচার্য, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ডিসট্রিক্ট ম্যানেজাররা ছোট ছোট অংশ। তাঁদেরকে ব্যবহার করেন DM, SDO-রা। কাকদ্বীপে ভুয়ো ভোটারকাণ্ডে এই অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি সাসপেন্ড হওয়া অরুণ গড়াই-মামলায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে CBI তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা। ED, CBI-এর উপরেই দাঁড়িয়ে বিজেপি। পাল্টা কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অরুণ গড়াই মামলা, একটা বড় বড় বড় দুর্নীতি। তাই এই কেস অবিলম্বে আপনি CBI-কে হস্তান্তর করুন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ইডি, সিবিআই , এজেন্সির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই বিজেপি। এরা অন্য কোথাও নেই। ক্য়ালেন্ডার অনুযায়ী মাস দশেক বাকি।কিন্তু, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা প্রায় বেজেই গেছে। আর তার আগে অন্য়তম ইস্য়ু হয়ে উঠেছে ভুয়ো ভোটার।
যা নিয়ে এবার, রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দরবার করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের দাবি তুললেন সিবিআই তদন্তের। কখনও দুই কেন্দ্রে একই ব্যক্তির নাম। কখনও এরাজ্য়ের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশের নাগরিকের নাম। গত কয়েক মাসে ভোটার তালিকায় সামনে এসেছে এমন একের পর এক গরমিল। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজনীতি।
সম্প্রতি এই ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সহকারী সিস্টেম ম্য়ানেজার অরুণ গড়াইকে সাসপেন্ড করেছে,মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সোমবার বিরোধী দলনেতা অবশ্য় দাবি করলেন, এর নেপথ্য়ে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা! এই ঘটনায় CBI তদন্তেরও দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, ECI কার সংগঠন? নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি বলেছেন ইউনিয়নের, মানে দেশের।
যদি দেশের সংগঠন হয় তাহলে অরুণ গড়াইয়ের যে FIR, এই FIR-এ রাজ্য পুলিশ কেন তদন্ত করবে? কেন CBI তদন্ত করবে না? আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, এই ১২০টা ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার যারা আছেন, PSC থেকে পাঠানো হয়েছে, এরা ছোটো ছোটো টুলস্, ছোটো মেশিন, এদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। এরাও দায়ী। আমি বলছি না, ক্লিনচিট দিচ্ছি না। এদেরকে ব্যবহার করেছেন SDO ও DM-রা। তাই এই মামলা অবিলম্বে CBI-কে হস্তান্তর করুন।
তৃণমূল কংগ্রেসর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'আসলে শুভেন্দু অধিকারী চাইছেন সুকান্ত মজুমদার ও তার স্ত্রীকে সিবিআই ডেকে জিজ্ঞসাবাদ করুক। কারণ তাদের দলের রাজ্য সভাপতির স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় দুই জায়গায় আছে। 'প্রসঙ্গত, ভুয়ো ভোটার ইস্য়ুতে রবিবার বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক মনটুরাম পাখিরা। তিনিও কাকদ্বীপ SDO অফিস এবং BDO অফিসের কিছু সরকারি কর্মচারীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
কাকদ্বীপের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, কিছু দালালচক্র আর কাকদ্বীপ SDO অফিস এবং BDO অফিসের কিছু সরকারি কর্মচারী, আমলা... তার সঙ্গে নামখানা BDO অফিসের বা যারা নামখানা ব্লকের এই নির্বাচনের কাজটা করেন, তাঁরা এই অনিয়ম এবং এই চক্রের মধ্যে যুক্ত আছে জড়িয়ে আছে। তাদেরকে প্রশাসন বার করুক। সেটা তাদের কাজ। কাজটা আমাদের নয়। অর্থের বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা, লক্ষ লক্ষ টাকার গল্প তো এখানে। সব মিলিয়ে ভোটের দামামা বাজার আগেই, তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা।