রঞ্জিত সাউ, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : বিজেপির ( BJP ) শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গেলেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) । যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপি সূত্রে খবর, আজই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সন্দেশখালি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করতে পারেন তাঁরা দুজনেই। ৫০ দিন পার। এখনও অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। অনেকেই বলছেন, এই আন্দোলনের ধাঁচ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতিকেই চাঙ্গা করছে। এবার শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠেও শোনা গেল সেই দাবি। 


দিল্লি যাওয়ার আগে ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু। 'নন্দীগ্রামে যা ছিল তা আছে সন্দেশখালিতেও ( Sandeshkhali ) । জমি দখল এখানেও একটা বড় ইস্যু। ২০১৩ থেকে সন্দেশখালিতে কেউ ভোট দিতে পারেননি। সন্দেশখালিতে চলছে বশ্যতাবিরোধী আন্দোলন' দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালির বুঝিয়ে দিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদিকে ভরসা করছে। ভোট লুঠ, গণতন্ত্র হত্যা,  নারী নির্যাতন আর জমি দখল, এই তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে বশ্যতাবিরোধী সংগ্রাম হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। 


অন্যদিকে, শনিবারই বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষকে যখন প্রশ্ন করা হয়, সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে? এবিপি আনন্দ-কে তিনি জানান,'নন্দীগ্রাম একটা গেম চেঞ্জার ছিল। এটা দেখেও ( সন্দেশখালি ) বহু মানুষ প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাবেন। নন্দীগ্রামের মতো পরিস্থিতি অনেক জায়গায় তৈরি হবে। সাধারণ মানুষ নিজের হাতে ঝাণ্ডা তুলে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিচ্ছেন। তারা এখন কোনো পার্টিকেও খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মানুষকে নিজের রাস্তা নিজেই খুঁজে নিতে হচ্ছে। ' 


শনিবারই বঙ্গ বিজেপির দুই স্তম্ভ সুকান্ত ও শুভেন্দু, জেএনইউর একটি হস্টেলে আলোচনাসভায় অংশ নেবেন তাঁরা। সন্দেশখালি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন তাঁরা। সেই আলোচনা সভায় দেখানো হতে পারে সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির তৈরি তথ্যচিত্রও। 


গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৩ বারের চেষ্টায় অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। তাও প্রথমে ধামাখালিতে বাধা পান তিনি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পর ব্য়ারিকেড সরায় পুলিশ। শুভেন্দুকে সামনে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামবাসীরা। এদিন জেলবন্দি বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের বাড়িতেও যান বিজেপি নেতারা। সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু কথা দিয়ে আসেন ২৬ ফেব্রুয়ারি ফের আসবেন তিনি। তবে সন্দেশখালির অনেক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তিনি আদালতের অনুমতি চান। তাতেই বিচারপতি কৌশিক চন্দ প্রশ্ন করেন, দুদিন পরেও তো যাওয়া যায়, সোমবারই যেতে হবে কেন ? এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।   


আরও পড়ুন :


গোপনীয়তা বজায় রেখে পুলিশে চোখ এড়িয়ে সন্দেশখালিতে মীনাক্ষী