কলকাতা : ভবানীপুর উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা । আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। রাজ্যে গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচন হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। এনিয়ে সরব হলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হবে বলে রাজ্যের মুখ্যসচিব লিখেছেন। এই লেখাটাকে আমরা ইস্যু করব। কারণ, তিনি মুখ্যসচিব হয়ে এটা লিখতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪-এর মধ্যে সাত জায়গায় বিধায়ক নেই। এখানে সাংবিধানিক কী জটিলতা আসবে ? মুখ্যসচিবের এই চিঠি, তার ভিত্তিতে কমিশনের এই স্পেশাল কেস হিসেবে উপনির্বাচন করানো প্রমাণ হয়েছে, এখানে শাসকের আইন চলে। জনগণের আইন চলে না।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকে জিজ্ঞাসা করছে নির্বাচন হচ্ছে কেন ? ওদের জিজ্ঞাসা করুন, ওরা হতাশ, ভীত না জননেত্রীর ভয়ে এধরনের কথা বলছেন ?
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এছাড়াও, ওই দিন ভোট হবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। ভোট গণনা ৩রা অক্টোবর। রাজ্যে গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচন হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত হয়ে যায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা ও ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এলে তৈরি হবে সাংবিধানিক সঙ্কট। সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাই সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে রাজ্যের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
লিখিত বিবৃতি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ‘রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এই ভোটকেন্দ্রগুলির উপর প্রভাব রাজ্য নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এলে তৈরি হবে সাংবিধানিক সঙ্কট। সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে ভোটের সিদ্ধান্ত।’
বিবৃতিতে কমিশন বলেছে, রাজ্যর মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ভবানীপুরে ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে না জিতলে তৈরি হবে সঙ্কট । তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে।