কলকাতা : অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সরকারি বাস পরিষেবা (Bus Service) বিপর্যস্ত। এই ইস্যুত এবার আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। "চাকরি চলে যাওয়ার ভয়। মনে মনে বিজেপি, কিন্তু বাইরে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করছেন। যাতে এই ১২ হাজার টাকার চাকরিটাও না চলে যায়," বলে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।


পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সরকারি বাস পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় অস্থায়ী বাস কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের নাজেহাল হওয়ার ছবি সামনে আসছে। পুজোর মুখে কারও বাড়ি ফেরা, জরুরি কোনও কাজে বেরিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।  


ভোগান্তির চিত্র-


পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপো থেকে প্রতিদিন যেখানে ৭০-৮০টি বাস ছাড়ে, সেখানে এখন কর্মীর অভাবে ছাড়ছে ১৫-২০টি বাস। দুর্গাপুর থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী ও ধর্মতলা রুটে বাস চললেও, বাকি জেলাগুলিতে বাস বন্ধ। 


বাঁকুড়ায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ১৬০ জন অস্থায়ী বাস কর্মী। ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের।


পুরুলিয়াতেও চলছে অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের কর্মবিরতি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো থেকে একটিও বাস বেরোয়নি। অস্থায়ী বাস কর্মীদের দাবি, মাসদুয়েক আগেও পুরুলিয়ায় ৩০টি রুটে সরকারি বাস চলত। কমতে কমতে তা এখন ১২টি রুটে চলে।


এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী বাসকর্মীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, "এসবিএসটিসি-র ১২ হাজার টাকা বেতন পাওয়া চালক-খালাসিরা এমনটা করবেই। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সম কাজে সম বেতন। এটা পশ্চিমবঙ্গে কার্যকরা করা উচিত। কাজের গ্রেড অনুযায়ী যাতে বেতন পায়, সেই বেতন দিয়ে যাতে সে নিজের এবং সমাজের আর্থিক দায়িত্ব পালন করতে পারে, এটা যতক্ষণ না হবে, পেটের খিদে থেকে, মনের ব্যথা থেকে আন্দোলন সংগঠিত হবে। চাকরি চলে যাওয়ার ভয়। তাই এরা মনে মনে বিজেপি, কিন্তু বাইরে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করছেন। যাতে এই ১২ হাজার টাকার চাকরিটাও না চলে যায়।"


আরও পড়ুন ; SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বিপর্যস্ত সরকারি বাস পরিষেবা