কলকাতা: পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সরকারি বাস পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় অস্থায়ী বাস বাস কর্মীরা।


অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি: দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপো থেকে প্রতিদিন যেখানে ৭০-৮০টি বাস ছাড়ে, সেখানে এখন কর্মীর অভাবে ছাড়ছে ১৫-২০টি বাস। দুর্গাপুর থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী ও ধর্মতলা রুটে বাস চললেও, বাকি জেলাগুলিতে বাস বন্ধ। বাঁকুড়ায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ১৬০ জন অস্থায়ী বাস কর্মী। ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের। পুরুলিয়াতেও চলছে অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের কর্মবিরতি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো থেকে একটিও বাস বেরোয়নি। অস্থায়ী বাস কর্মীদের দাবি, মাসদুয়েক আগেও পুরুলিয়ায় ৩০টি রুটে সরকারি বাস চলত। কমতে কমতে তা এখন ১২টি রুটে চলে। বর্ধমানে অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের কর্মবিরতি চলছে। আজ সকালে বর্ধমান থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী ও ধর্মতলা রুটে কয়েকটি বাস চললেও, বাকি কোনও রুটেই বাস চলছে না। ভোগান্তি চরমে উঠেছে যাত্রীদের।


কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের: আজ মহলয়া, পুজোর বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। রবিবার ছুটির দিন অব্যাহত দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি। একাধিক রুটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে চরমে যাত্রী ভোগান্তি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও মিলছে না বাস। গত চারদিন পর রবিবারও ছবিটা বদলাল না।আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে চরমে উঠেছে যাত্রী হয়রানি। আগেই আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামা হবে। 


কুড়মি আন্দোলন প্রত্যাহার: ৬ দিনের মাথায় পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে অবরোধ তুলে নিলেন কুড়মিরা। সকাল ৬টা ৫০-এ অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন বিক্ষোভকারীরা। ১২০ ঘণ্টা পর গড়াল ট্রেনের চাকা। এর আগে গতকাল রাত ৩টে নাগাদ খেমাশুলিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত মহকুমা শাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। শেষপর্যন্ত প্রশাসনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সকালে অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় আদিবাসী কুড়মি সমাজ। 


 আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: আজ মহালয়া, ঘাটে ঘাটে তর্পণ রাজনৈতিক নেতাদের