সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় বিজেপিতে (BJP) ফের ভাঙন। গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে তৃণমূলে যোগ দিলেন তপশিলি মোর্চার একাধিক কার্যকর্তা। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


কী ঘটেছে? 


অমিত শা-র বঙ্গ সফরের পর দশদিন অতিক্রান্ত। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় দলকে রাস্তায় নেমে জোরদার আন্দোলনের নির্দেশ দিলেও বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ চলছেই। এবার পুরুলিয়া জেলা বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তপশিলি মোর্চার একাধিক কার্যকর্তা। সোমবার পুরুলিয়া শহরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিজেপি ত্যাগী নেতাকর্মীদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। তৃণমূল সূত্রে দাবি, শতাধিক বিজেপি নেতাকর্মী সোমবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। 


পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন,  "তৃণমূলে ভরসা রেখে, নেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে বিজেপি কার্যকর্তারা তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। যোগদানকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে উন্নয়নের কাজ করানো হবে।" জেলা কমিটিতে রদবদলের সময় থেকেই বিক্ষোভের সুর চড়া হয়েছিল পুরুলিয়া বিজেপিতে। সম্প্রতি দয়াল সহিসকে দলের তপশিলি মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক পদ থকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই দয়াল সহিস এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকের তপশিলি মোর্চার একাধিক কার্যকর্তা। 


আরও পড়ুন, পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার ও বান্ধবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের


বিজেপির কী বক্তব্য? 


বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী নেতা দয়াল সহিস বলেন, "বিজেপি করে সর্বস্ব খুইয়েছি। বিপদের সময় নেতারা পাশে থাকে না। নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের পাত্তা দেয় না বিজেপি। বড় লোকদের দল। তৃণমূলে ভরসা রেখে স্বেচ্ছায় যোগদান করলাম।" 


অন্যদিকে, পুরুলিয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, "পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় উনার হয়তো খারাপ লেগেছে। যেতেই পারেন অন্য কোনও দলে। তৃণমূলে যখন গিয়েছেন, কতজনকে ভাঙিয়ে জয়েন করাতে পারেন আমরাও দেখব।" 


গত বিধানসভা ভোটে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও পুরুলিয়ায় ভাল ফল করা বিজেপি দলের এই ভাঙন কীভাবে সামলায় সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।