দীপক ঘোষ, কলকাতা: বঙ্গ (West Bengal) বিজেপির (BJP) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁর অভিযোগ, কলকাতায় থাকলেও, তাঁকে এই বৈঠকের ব্যাপারে জানানোই হয়নি। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, যাঁদের সংগঠনের কাজের দায়িত্ব আছে, তাঁদের নিয়েই ছিল এই বৈঠক!
কী অভিযোগ লকেটের?
পরপর ভোটে পরাজয়ের অস্বস্তি। তারওপর নেতায় নেতায় কথার লড়াই। দলের অন্দরের এহেন দ্বন্দ্ব ঘোচাতে মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সেই বৈঠককে কেন্দ্র করেও ফের প্রকাশ্যে চলে এল বঙ্গ বিজেপির অন্দরের বিভেদ। কলকাতায় থাকলেও, বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
তাঁর দাবি, এই ধরনের বৈঠক যে হচ্ছে, তা তাঁকে জানানোই হয়নি। বিজেপির রাজ্য সংগঠনের ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ৩ জনকে এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি। তাঁদের মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায় যেমন বৈঠকে না ডাকার অভিযোগ তুলেছেন তেমনই বৈঠকে দেখা যায়নি রাজ্য বিজেপির দুই সাধারণ সম্পাদক আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে।
আরও পড়ুন, ফের চিটফান্ডের পর্দাফাঁস শহরে, প্রতারিত কয়েক হাজার মানুষ
রাজ্য সভাপতির বক্তব্য
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সব জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন না, লকেট ছিলেন না, অগ্নিমিত্রা পাল ছিলেন না...লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।" আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, সব বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়না। এটাই নিয়ম। আর পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর বক্তব্য, তাঁর কাছে বৈঠকের খবর ছিল। কিন্তু রাজ্যের বাইরে থাকায় বৈঠকে যেতে পারেননি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, "আপনারা যাদের নাম করছেন, তারা রাজ্য কমিটির সদস্য, বা রাজ্যের পদাধিকারী, রাজ্যের পদাধিকারীদের বৈঠকই ছিল না, তো তারা কেন ডাক পাবেন, যারা বিভাগের দায়িত্বে আছেন, বিভাগ ইনচার্জ আর জোন ইনচার্জ...."।
এদিকে, ৪ঠা মে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তার আগে কি দলীয় কলহ সামলে ফেলতে পারবে বঙ্গ বিজেপি? নাকি হস্তক্ষেপ করতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই?