শিবাশিস মৌলিক ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: সদস্য় সংগ্রহ অভিযানে বাংলায় ১ কোটির লক্ষ্য়মাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। শনিবার সুকান্ত মজুমদার জানালেন, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ সদস্য় সংগ্রহ হয়ে গিয়েছে। ১০ই জানুয়ারির মধ্য়ে ৫০ লক্ষ পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ মেরেকেটে মূল টার্গেটের অর্ধেক পার করতে পারে রাজ্য় বিজেপি। সদস্য় সংগ্রহ অভিযান নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। (BJP Membership Drive)
সদস্য় সংগ্রহ অভিযানে শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি-কে। কিন্তু, শেষ অবধি স্কোর বোর্ড দেখে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট তারা। বাংলায় ১ কোটি সদস্য় সংগ্রহের লক্ষ্য়মাত্র দিয়েছিলেন শাহ। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে এখানে সরকার হবে।" তবে শাহ ১ কোটি সদস্য় সংগ্রহের লক্ষ্য়মাত্রা বেধে দিলেও, রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ হয়ে গিয়েছে। (Sukanta Majumdar)
সদস্য সংগ্রহ নিয়ে সুকান্ত বলেন, "৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লক্ষ হয়ে যাবে।" অর্থাৎ মেরেকেটে মূল টার্গেটের হাফ ক্রস করতে পারে রাজ্য় বিজেপি। সুকান্ত জানিয়েছেন, ৪০ ফর্মের সবক'টিই যাচাই করা হয়েছে। গুণগত মানও ভাল। মিসড কল দিয়ে সদস্যতা গ্রহণ অনেক হয়। সেখানে ফর্ম ফিলআপ করে হয়েছে ৪০ লক্ষ। (West Bengal BJP)
বঙ্গ বিজেপির দাবি, প্রথমে আর জি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো চলে আসায়, তাদের সদস্য় সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় কর্মসূচি। তাই, লক্ষ্য়মাত্রা পূরণের দিন বাড়িয়ে প্রথমে ৩১ ডিসেম্বর, তার পর আরও বাড়িয়ে ১০ই জানুয়ারি করা হয়।
শনিবার সেক্টর ফাইভের একটি হোটেলে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। বৈঠকে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য়, রাজ্য় বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্য়রা।
বিজেপি সূত্রে খবর, সাধারণ সদস্য় সংগ্রহের পাশাপাশি, শুরু হয়েছে সক্রিয় সদস্য় সংগ্রহও। যাঁরা ৫০ জন সাধারণ সদস্য় যোগদান করাতে পেরেছে, তাঁরাই সক্রিয় সদস্য় হতে পারবেন। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, "সদস্য সংগ্রহ করছে। মিসড কলে যাদের সদস্য পাওয়া যেত! ওদের সদস্যদের কীর্তিকলাপ দেখেছি আমরা। নেতার কথায় এখন সশরীরে নেমেছে। জোর করে মানুষকে সদস্য করা যায় না। মানুষের জন্য করলেনটা কী? সদস্য সংগ্রহে এই প্রশ্ন করা হলে, বোঝা যেতে পারে মানুষ সদস্য হবেন কি না।"
তবে, শনিবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন না দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে নানাজন নানা মত প্রকাশ করলেও, সুকান্তর বক্তব্য, "সব বৈঠকে সবাই আসতে হবে কে বলেছে? রাজ্য সভাপতি সব বৈঠকে থাকে। বাকিদেরও কর্মসূচি রয়েছে।"
বিজেপি সূত্রে খবর, সক্রিয় সদস্য় সংগ্রহ শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে বিভিন্ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া।