সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অগ্নিমিত্রা পালের মাইল্ড ব্রেন স্ট্রোক।ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি বিধায়ক। অসুস্থ বোধ করায় কাল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যানে মাইল্ড ব্রেন স্ট্রোক ধরা পড়ে। ব্রেন স্ট্রোক হলেও বিপদমুক্ত অগ্নিমিত্রা, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিন দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, খবর হাসপাতালসূত্রে ।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে অগ্নিমিত্রা পালকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতেই সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে তাঁর মাইল্ড ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। তবে অবস্থা গুরুতর নয়। তবে চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে তিনদিন হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। একজন নিউরোমেডিসিন চিকিৎসকের অধীনে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্নায়ুর উপর অত্যাধিক চাপের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এই মুহূর্তে ঝুঁকির কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রীর এখন যা পরিস্থিতি সেটা ওষুধেই সমাধান হয়ে যাবে। তবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। আপাতত তাঁকে ক্রিটিকাল কেয়ার বেডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই ফর্টিস হাসপাতালেই বুকে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। ফুসফুসে সংক্রমণ কিছুটা কমায় তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ফের কাল রাতে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এমনটাই খবর হাসপাতাল সূত্রে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিজেপি শিবির থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নামে চোর স্লোগান যেমন উঠল, তেমনি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে চোর স্লোগান দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি, সাসপেনশন, বাদ গেল না কিছুই। একদিনে সাসপেন্ড হলেন আরও ৫ জন বিজেপি বিধায়ক। এর মধ্যে রয়েছেন অগ্নিমিত্রা পালও। বিধানসভায় এই ঘটনায় অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য ছিল 'সাসপেন্ড করে তো আমাদের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। আমার ৩০ মিনিট সময় আপনি কথা বলতে দিলেন না। মাইক বন্ধ করে দিলেন। কারণ আপনি সরকার। আপনারও ৩০ মিনিট সময় ছিল। কিন্তু আপনি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট কথা বললেন।'
গতকালই অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও বঙ্কিম ঘোষকে। বিজেপির ৩ বিধায়ক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চারজন মার্শালও আহত হয়েছেন বলে বিধানসভা সূত্রে খবর।