ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বিজেপি (Dhupguri BJP MLA Death) বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের এসএসকেএমে (SSKM) মৃত্যু ঘিরে হইচই। বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। অব্যবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়, অভিযোগ বিধায়কের ছেলে প্রদীপ্ত রায়ের। আরও দাবি, মাঝরাতে বেডে শুয়ে ঠান্ডায় কাঁপছিলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, 'কম্বল, চাদরও জোটেনি। পরে অভিযোগ করায় চাদর এনে দেওয়া হয়।' শুধু তাই নয়। মাঝরাতে স্ট্রেচার ঠেলে পরিবারের সদস্যদেরই রোগীকে উডবার্ন ব্লকে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যেতে হয়, আরও অভিযোগ বিষ্ণুপদ রায়ের পরিবারের। এখনও এসএসকেএমের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবারই কলকাতায় এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। অসুস্থ বোধ করায় ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। অস্ত্রোপচারও করা হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর। আজ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। দলীয় সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়কের মরদেহ। বিধানসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন বিধায়করা। তবে প্রয়াতের পরিবারের তরফে অব্যবস্থার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ঘিরে হইচই নানা মহলে। বিধায়কের ছেলে প্রদীপ্ত রায়ের অভিযোগ, 'এতগুলো বিল্ডিং, কিন্তু মানবিকতার এত অভাব, সেটা খারাপ লাগছে। যেমন ধরুন, রাত দেড়টা নাগাদ ফোন আসে যে ওঁকে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যেতে হবে। উনি আইটিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। যখন আমরা উপরে যাই, দেখি, উনি ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছেন।' দুটো বেডশিট বা কম্বলের ব্যবস্থা কেন করা গেল না, আক্ষেপ তাঁর। এতেই শেষ নয়। উডবার্ন ওয়ার্ডে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়ার জন্যও একজন মাত্র অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন, দাবি প্রদীপ্ত রায়র। 


আর যা...
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে রবিবার রাতে এসএসকেএমে ভর্তিহয়েছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। রাতেই ছোট একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, তার পর থেকে ধীরে হলেও অবস্থা ভাল হচ্ছিল ধূপগুড়ির বিধায়কের। তিনি কথাও বলেছিলেন। কিন্তু এর পরেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে, বলে দাবি পরিবারের। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, 'আমরা ভরসা করে এসেছিলাম, বিষ্ণুদাকে এখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব। কিন্তু পারলাম না। কেন পারলাম না, সেটা চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরাই বলতে পারবেন। কিন্তু এখন যেন বার বার করে মনে পড়ছে, আমাদের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সময়ও এখানে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। হালে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও উচ্চগ্রামে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন, বলেছিলেন এখানে রোগী নিয়ে আসা উচিত নয়। পরবর্তীতে হয়তো রাজনৈতিক কারণে মত পাল্টান। ...এইসব ভাবায়।'


আরও পড়ুন:স্কুল জীবনে বাবার মৃত্যু, সাইকেল সারিয়ে প্রথম আয়! হার না মানা জেদের জোরেই এখন IAS