উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, রাজা চট্টোপাধ্য়ায় ও সনৎ ঝা, নাগরাকাটা : সোমবার নাগরাকাটায় হামলার মুখে পড়েছিলেন। শনিবার সেই নাগরাকাটায় গেলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পৌঁছে দিলেন ত্রাণ সামগ্রীও। যা নিয়ে আবার কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মাঝে ৬ দিনের ব্যবধান...। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ৩ দিনের মাথায় ফের নাগরাকাটায় পৌঁছে গেলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পৌঁছে দিলেন ত্রাণ সামগ্রী। শঙ্কর বলেন, "যারা এখানে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল, এই নাগরাকাটাতে, সেখানে এসে ত্রাণ দেওয়ার একটাই কারণ, একটাই বার্তা দেওয়া দুর্বৃত্তদের কোনও ছাড় নেই।"
লক্ষ্মীপুজোর দিন ধস বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মারধর থেকে ধাক্কা ! গাড়িতে পাথর ছোড়া। বাদ যায়নি কিছুই। সেদিন আর ত্রাণ বিলি করা যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বিজেপির সাংসদ-বিধায়ককে। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরের দিনই শিলিগুড়িতে ত্রাণ সংগ্রহে বেরোন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শনিবার সেই ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান নাগরাকাটায়। সঙ্গে ছিলেন কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা। ট্রাক্টর ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী নাগরাকাটা থেকে পাঠানো হয় দুর্গত এলাকায়।
শঙ্কর ঘোষ বলেন, "এই নরকের যে শাসন সেই শাসনকে সমাপ্ত করতে হবে এবং দুর্বৃত্তদেরও নিকেশ করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভয় পেয়ে যদি আমি পিছিয়ে যাই তাহলে ভবিষ্যতে আমার মতোন যারা হয়তো ব্যক্তিগতভাবে ক্লাব, NGO-র হিসেবে যারা ত্রাণ দিতে যাবে তারাও ভয় পেয়ে যাবে।"
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "বন্যাত্রাণে যে কেউ যেতে পারেন, সেটা ভাল কাজ। শঙ্করের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। শঙ্কর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দিক। শঙ্করের গায়ে কেউ টুঁ শব্দটিও করবে না, কেউ টাচও করবে না। কিন্তু, শঙ্কর যেখানে যাবে বিজেপির লোকেদের জানিয়ে যান, কারণ বিজেপির অন্তর্দ্বলীয় কোন্দলে না শঙ্করকে আবার ধাক্কা খেতে হয়।"
এদিকে, ঘটনার দিন থেকে শিলিগুড়ির নেওটিয়া গেটওয়েল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাই সুগারের রোগী হওয়ায় ক্ষত শুকোতে সময় লাগছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলে, আগামী সপ্তাহেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।