কলকাতা : চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড দুই বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যপালের ভাষণের দিন বারবার ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য সাসপেন্ড করা  হয়েছে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। 
বুধবার সকালেই এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যকে কটাক্ষ করে ট্যুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তিনি লেখেন , ' পবিত্র বিধানসভার মধ্যে রাজ্যপালকে ঘেরাও কিংবা অবরোধের প্রশংসা করা অথবা এর পিছনে কোনও যুক্তি খোঁজার কারণ থাকতে পারে না। কোথায় যাচ্ছি আমরা! কেনই বা এটা করা হচ্ছে! অধিবেশনকক্ষের ভিতরের অব্যবস্থাকে কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাধুবাদ জানালেন! গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।'







 সোমবার ভাষণ শুরুর আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপাল বেরিয়ে যেতে উদ্যত হলে, তাঁকে আটকায় তৃণমূল। বিধানসভায় ধুন্ধুমারকাণ্ডে সেই থেকে তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধ চরমে! তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের একাংশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে হেনস্থার অভিযোগে সরব বিজেপি! উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের মহিলা বিধায়কদের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ! মঙ্গলবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ' গতকাল আপনারা দেখেছেন, বিজেপির নির্লজ্জ ভূমিকা। বিজেপির প্ল্যান ছিল অতি কলঙ্কিত, ওরা চেয়েছিল গণতন্ত্রের হত্যা হোক।...বিজেপি অনেক অপমান করেছে মহিলাদের। অনেক কু কথা বলেছে, অনেক অর্ধ সত্যও বলেছে। তা সত্ত্বেও নিয়ম মেনে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছে মহিলা বিধায়কেরাই।' 
এরপর বিধানসভার স্পিকারকে লেখা চিঠি তুলে ধরে ধনকড় ট্যুইট করে বলেন, ' ৭ মার্চ বিধানসভায় সংবিধানের ১৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন, যেভাবে অপ্রীতিকর হট্টগোল এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, শাসন ব্যবস্থা তলানিতে চলে গেছিল, সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষকে ৩ দিনের মধ্যে সাক্ষাতের আয়োজন করতে অনুরোধ করছি। ' 
তারপরই এই পদক্ষেপ।