লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে আগামী দিনে কি বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও চমক অপেক্ষা করে রয়েছে? চলছে জল্পনা। এরই মধ্যে সকালের বিমানে দিল্লি গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ।
তার আগে এড়ানো গেল না সেই প্রশ্ন। জয়প্রকাশ প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, ' কিছু পেশাদার লোক থাকেন। তারা যখন যেমন তখন তেমন। এর আগে উনি কংগ্রেস করতেন। পরের দিন বিজেপির হয়ে মিডিয়ায় বসলেন। আগে বলা হতো আয়ারাম গয়ারাম । ফুটবল ক্লাব চেঞ্জ করার মতো । কিছু লোক আসবে যাবে। এতে কিছু যায় আসে না। '
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পোস্টেও ছিল এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই।
মঙ্গলবার নব্য তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই মুহূর্তে বিজেপি আইসিইউতে আছে। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি দিলীপ। তিনি বলেন, ' দল আমরা দাঁড় করিয়েছি। পার্টি এখন গাড্ডায় পড়েছে। আমরা আবার সেটা নিয়ে বসব। '
সেই সঙ্গে তৃণমূলের এক ব্যক্তি, এক পদ প্রসঙ্গেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, ' ঘাসফুল শিবিরে এক ব্যাক্তি এক পদ তৃণমূল কংগ্রেসে সম্ভব নয়। আমরা করি বলে ওরাও লোক দেখানো করেছিল। উনি চার পাঁচ জন লোকের বেশি কাউকে বিশ্বাস করেন না। বেশি লোক কন্ট্রোল করা মুশকিল। কারণ পার্টিটা পারিবারিক পার্টি। '
এরমধ্যে জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর, বিজেপিতে আরও ভাঙনের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ' কাল যারা বৈঠক করেছিল, শুনলাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে থাকা যায় না। ধাপে ধাপে তাঁরা তৃণমূলে আসবে ' । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সোমবারই জয়প্রকাশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রীতেশ তিওয়ারি, লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ' কেউ যদি নিজেকে বিক্ষুব্ধ মনে করেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কারো সাথে দ্বিমত হতে পারে। কেউ মনে করতে পারে তার সাথে সুবিচার হয়নি তারজন্য জায়গা আছে। অপেক্ষা করতে হবে। '