উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : একদিকে মোদি সরকারের বাজেটকে একপেশে বলে অভিযোগ করে লোকসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা আর অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা চত্বর বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল। বুধবার নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিধানসভার ভিতর ও বাইরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। তারই মাঝে চোখ আটকাল আরেকটি বিষয়। 


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন, ঠিক সেই সময়ই তার দিকে ছুটে আসেন তৃণমূলের এক বিধায়ক। বর্ধমান পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর দিকে উত্তেজিত হয়েই চলে আসেন। দেখা যায়, বিরোধী দলনেতার দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলছেন তিনি। গলার স্বরও উচ্চ। রীতিমতো উত্তেজিতই তিনি। শুভেন্দুও উত্তর দিচ্ছেন তাঁর কথার। দুজনের মধ্যে বাদানুবাদের আঁচ পান প্রত্যেকেই। তারপর শুভেন্দু বেরিয়ে যান। কিন্তু তখনও উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। 


সূত্রের খবর, তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেছেন। যা শুনেই বেজায় চটে গিয়েছেন তিনি। তপন চট্টোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, তাঁর এলাকায় গিয়ে, তাঁকে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্য়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু ভরা সভায় দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে নাকি থার্ড ডিভিশনে মাধ্যমিক পাশ করে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন ! এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই তপন চট্টোপাধ্যায় তেড়ে যান। বিরোধী দলনেতার জবাব চান তিনি। আর ঠিক এরপরই শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কাপ্রকাশ করেন , বিধানসভার ভিতরে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে। তিনি বলেন, বিজেপি বিধায়করা কেন্দ্র থেকে নিরাপত্তা পান। তাঁদের বিধানসভার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ফলে এরকম ঘটনা ঘটলে তিনি বিধানসভার মধ্যেও নিরাপদ বোধ করছেন না। এ বিষয়ে তিনি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন। 


এদিন বিধানসভা চত্ত্বরে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বঙ্গ জুড়ে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তাঁরা  বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড হাতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বিধানসভায় বলার সুযোগ পায় না বিরোধীরা। মিডিয়া রুমেও প্রতিবাদ করতে অনুমতি দেবেন না অধ্যক্ষ। তাই বাইরেই সরব তাঁরা।  'বিবস্ত্র করে ঘোরানো, সালিশি সভায় মারধর ... এগুলো নিয়ে আমরা কোথায় বলব? আপনারা আমাদের কথা বলতে দেবেন না, মাইক বন্ধ করে দেবে, প্রেস রুম বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। রাস্তা তো খোলা রয়েছে। এই বিধানসভা, যেখানে মহিলাদের ওপর রোজ অত্য়াার হয়, কিন্তু বিধায়কদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। ' বলেন অগ্নিমিত্রা। 


আরও পড়ুন :                        


মাথার ভিতরে প্রাণঘাতী অ্যামিবা, নিশ্চিত মৃত্যু-মুখ থেকে ফিরল কেরলের কিশোর, কী সেই মারণরোগ? 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে