প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া : বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর রীতিমতো মিলছে হুমকি, নিরাপত্তায় রুম্পার বাড়িতে মোতায়েন রাজ্য পুলিশ। শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে তার গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু গঙ্গাজলঘাটি থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণের পিটিশন জমা করেন। যদিও বিচারক বিধায়কের সেই পিটিশন খারিজ করে বারাসতের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
কৃষ্ণ কুণ্ডু ও তার স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডুর দাবি ছাতনার বিধায়ক তথা গঙ্গাজলঘাটির বাসিন্দা সত্য নারায়ণ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য রীতিমতো তাঁদের হুমকি দিচ্ছে। মৌখিক ভাবে এই হুমকির অভিযোগ পেয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার বাড়িতে মোতায়েন করা হল রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবলকে। এই বেশ কয়েকটা দিন আতঙ্কেই ছিল পরিবার অবশেষে পুলিশ মোতায়েনের পর তা অনেকটাই নিশ্চিন্তে রুম্পা ও তার স্বামী কৃষ্ণ কুণ্ডু। অন্যদিকে ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ন মুখার্জি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নিজের গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে। গাড়িচালক আবার কয়েক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছিলেন, বিধায়কের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, দুর্গামন্দিরে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। গাড়িচালকের অভিযোগ, চন্দনাকে মারধর করত ওঁর স্বামী, শাশুড়ি। ঠিক যেন নাটকের ঘটনাপ্রবাহ!
গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ, বিধায়ক হওয়ায়, আত্মসমর্পণের আবেদন করতে হবে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের বিশেষ আদালতে।
চন্দনা বাউড়ি এবং নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গাড়িচালকের স্ত্রী। যার প্রেক্ষিতে, বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে।