উত্তর দিনাজপুর: 'কালসাপ বাড়িতে ঢুকলে লাঠি দিয়ে মাথা ভেঙে দিন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রস্তুত থাকুন', ইসলামপুরে (Islampur) গিয়ে নাম না করে তৃণমূলকে (TMC) হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদ (BJP MP) দেবশ্রী চৌধুরীর (Debasree Chowdhury)। 'নিজেরা প্রতিরোধ না করতে পারলে কান্নাকাটি করে লাভ নেই', পঞ্চায়েত আমাদের জিততে হবে, দলীয় কর্মীদের বার্তা রায়গঞ্জের সাংসদের। বিজেপির পাশে লোক নেই, আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে, কটাক্ষ তৃণমূলের।
কী বললেন বিজেপি সাংসদ?
নাম না করে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারির অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বললেন, 'পঞ্চায়েত আমাদের জিততে হবে।' রায়গঞ্জের সাংসদের কথায়, 'নিজেরা যদি প্রতিরোধ না করতে পারেন, তা হলে আমাদের কাছে কান্নাকাটি করে লাভ হবে না।' সঙ্গে আরও বলেন, 'বাড়িতে কোনও সুন্দরী মহিলা এলে তাঁকে তো ফুল-মিষ্টি দিয়েই বরণ করা হয়। আর যদি বাড়িতে ডাকাত বা কালসাপ ঢোকে, তাকে ফুল দিয়ে আপ্যায়ন করবে? দুধ দেবে? তার জন্য তো লাঠির দরকার রয়েছে।' সাংসদের বক্তব্য, যার জন্য যেটা প্রযোজ্য তার জন্য সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁর আরও নিদান, যা যা দিয়ে কালসাপের মাথা ভেঙে দেওয়া যায় তাই জোগাড় করতে হবে। দেবশ্রীর কথায়, 'এটি ধর্মযুদ্ধ। মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, লুন্ঠন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত লুঠের ভাগ পৌঁছে গিয়েছে। সেই লুঠের ভাগ আটকাতে যা প্রয়োজন, তাই করুন।'
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের?
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, 'ওরা যে রড বা লাঠি দেখাবে, তার জন্য তো লোক লাগবে। সেই লোক কোথায় রয়েছে? হেলিকপ্টার থেকে লাঠি ফেলে দেবে নাকি?' তাঁর মতে, এগুলি শুধু আতঙ্ক তৈরির জন্য করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও নানা হুমকি-হুঁশিয়ারিতে নাম জড়িয়েছে বিজেপি বিধায়কের। গত ডিসেম্বরেই যেমন থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। সে বার অশোকনগর থানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক, অভিযোগ ছিল এমনই। বিডিও অফিসে হামলা, চেলাকাঠ দিয়ে মারধরের হুমকির পরে ফের হুমকি। 'এরকম মুখেই বলে, এটাই ওদের সংস্কৃতি', পাল্টা কটাক্ষ করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার আগেই আবার দিনহাটায় তৃণমূলের সভায় বিধায়ক পুত্র সায়ন্তন গুহ বলেছিলেন, 'বিজেপি তৃণমূলকর্মীদের দিকে তাকালেই ধোলাই হবে। বিজেপি গুন্ডাদের ধোলাই হবে।