খড়্গপুর: ফের পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁদর দাবি, বিজেপি-র মিছিল আটকানোই এখন পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিজেপি-কে চমকে লাভ নেই। বিজেপি শুধু তৃণমূলের চামচাগিরি করে বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ। হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "চাকরি তোমাকেও করতে হবে, চাকরি ছাড়লে খেতে পাবে না। চোরেরাও জেলে যাবে, তোমাদের কপালে তার থেকে বেশি কষ্ট।" রাস্তায় মানুষজন পুলিশকে ধরে মারবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ। (Dilip to Police)
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র খড়্গপুরের সমাবেশ থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ। তিনি বলেন, "পুলিশের কাজ খালি আমাদের মিটিং আটকানো। অনুমতি দেবে না, আমাদের নামে কেস দেবে! আমরা মেদিনীপুরে অনুমতি নিয়ে মিছিল করেছিলাম। আমাদের কেউ মুখোশ পরে পার্থ সেজেছিল, কেউ অনুব্রত সেজেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশও পরেছিল কেউ। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর, যে মমতা সেজেছিল, তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সেজে, তাঁদের কোমরে দড়ি পরিয়েও তো নিয়ে যাওয়া হয় ক'দিন আগে। কতজনকে গ্রেফতার করেছে এই পুলিশ? কতজনের নামে মামলা করেছে?"
পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করে দিলীপ আরও বলেন, "তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দম আছে? পারবে না। তোমরা চামচাগিরি করবে, গরু, কয়লা, বালি পাচারের টাকা তুলবে। চোরেদের গায়ে হাত দেওয়ার দম নেই। মেরুদণ্ড নেই তোমাদের। বিজেরি-কে চমকাও তোমরা। পুলিশকে বলছি, চাকরি তোমাকেও করতে হবে। কাল অবসর নিলে বা চাকরি ছাড়লে খেতে পাবে না। আর চোরেরাও জেলে যাবে। তোমাদের কপালে তার থেকে বেশি কষ্ট। "
লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছেন দিলীপ। বিশেষ করে মূলচক্রী ললিত ঝা বাংলায় ছিলেন বলে তদন্তে যা জাান গিয়েছে, তাতে ললিতের বঙ্গ-যোগ নিয়ে সরব হয়েছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, বাংলা থেকেই গোটা দেশে উগ্রপন্থা চালানোর উৎসাহ পাচ্ছেন অভিযুক্তেরা। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
লোকসভায় তাণ্ডব নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, "বাংলা থেকেই দেশের বিরুদ্ধে লাগাতার চক্রান্ত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ কি পাকিস্তান-আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে? যাঁরা সংসদে হামলা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন, তাঁরাই হয়ত এর নেপথ্যে। কেন বাংলায় দেশবিরোধী চক্রান্তের গড় তৈরি হয়েছে, তৃণমূলকে জবাব দিতে হবে।" যদিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বদনাম করা, বাংলাকে নিয়ে কুৎসা করাই বিজেপি-র একমাত্র কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।