মিরিক : জল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনব কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত-এর। জলের কলে মুখ লাগিয়ে বললেন, 'হ্যালো মমতা দিদি, শুনতে পাচ্ছেন'। মিরিকে 'হর ঘর জল' প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। মিরিকের গোপালধারায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 'হর ঘর জল' প্রকল্পে ৮ মাস আগে বসানো কলে জল আসে না বলে দাবি করেছেন সাংসদ। এর পরই ওই কলে মুখ লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ বার্তা রাজু বিস্ত-এর। 'হ্যালো মমতা দিদি, এটা হর ঘর জল প্রকল্পের কল। এই কলে জল আসে না, আপনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?' কলে মুখ লাগিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ। সেই ভিডিও ভাইরাল। 'হর ঘর জল' প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও।
এনিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, "গ্রামীণ এলাকায় 'হর ঘর জল'-এর জন্য টাকা মিলেছে। কিন্তু, সেই টাকা বইয়ে গেছে, জনতা এক টাকারও জল পাননি। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তাই, আমি ওরকম বলেছি। আমি চিঠি লিখেছি। কিন্তু, সরকার-প্রশাসনের তরফে কোনও উত্তর আসেনি।" বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "প্রত্যেক ঘরে জল পৌঁছানোর কেন্দ্রীয় সরকারি যে প্রকল্প, সেই প্রকল্পের অর্থের নয়ছয় করার যে ছবি...আমাদের সাংসদ যেভাবে তুলে ধরেছেন, হ্যাটস অফ টু হিম। এই রাজ্যের বর্তমান অবস্থাটা কী...একটা ছবি সেটা সম্পূর্ণভাবে...রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা....জল...মানে একেবারে যে প্রাথমিক পরিষেবা জল, বিদ্যুৎ...এই পরিষেবা যে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সেটাকে উন্মোচিত করেছে।"
প্রকৃতির তাণ্ডবলীলায় ছবির মতো সুন্দর মিরিক এখন যেন ধ্বংসপুরী। এক রাতের দুর্যোগে, ওলটপালট হয়ে গেছে এখানকার অসংখ্য মানুষের জীবন..কোথাও পাহাড়ের কোলে প্রায় ঝুলছে বসতবাড়ি। কোথাও আবার ঘরের মধ্যে পড়েছে পলির চাদর। কোথাও আবার দুর্যোগে মাথার ছাদ হারিয়ে স্থানীয় রিলিফ ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছে বহু মানুষের। ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এখানকার অসংখ্যা চায়ের বাগানও।
সবুজে ঘেরা পাহাড়। তার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা শান্ত জনপদ। বহু পর্যটকের মনে এখনও গেঁথে রয়েছে মিরিকের এই ছবিটা। কিন্তু, প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা তছনছ করেছে সবটা। এক রাতের দুর্যোগে, ওলটপালট হয়ে গেছে এখানকার অসংখ্য মানুষের জীবন..। পর্যটনের পাশাপাশি পাহাড়ের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড চা শিল্প। কিন্তু, প্রকৃতির রুদ্র রোষে, ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগান। সব মিলিয়ে, পাহাড় জুড়ে এখন শুধু অন্ন, আশ্রয় আর নিরাপত্তার হাহাকার। চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।