Taslima Nasrin: তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasrin) কলকাতায় ফেরানোর দাবিতে সরব হলেন বিজেপির (BJP) রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তসলিমাকে নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। কলকাতায় আশ্রয় নেন তিনি। কিন্তু, পরে কলকাতা থেকেও বিতাড়িত করা হয় তাঁকে। কলকাতা থেকে তাঁকে বিতাড়িত করতে তৎপর হয়েছিলেন যে কংগ্রেস নেতা, তিনি এখন তৃণমূলে, রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে বললেন শমীক ভট্টাচার্য।
কী বলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য
বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন, তাঁর লেখনীর জন্য বরাবরই কট্টরপন্থীদের নিশানা হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি বাংলাদেশে যে বইমেলা হয়েছে, সেখানেও তসলিমা নাসরিনের বই থাকা দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তসলিমা নাসরিনের বই না রাখার হুলিয়াও জারি করা হয়েছিল। এর আগেও একাধিকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন তসলিমা। নিজের দেশ বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে। এমনকি ভারত থেকেও বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকে। বিদেশের মাটিতে ছিলেন অনেকদিন। সেই সময় বারবার তসলিমা বলেছিলেন বাংলা ভাষায় একটু কথা বলার জন্য কতটা আকুল হয়ে থাকতেন তিনি। কোথাও বাংলা বই, বাংলা ভাষার কোনও অনুষ্ঠানের খোঁজ পেলেই বারংবার ছুটে গিয়েছেন তিনি।
এত বছর পর তাঁকে কলকাতায় ফেরানো আবেদন কেউ করেছেন শুনে খুশি হয়েছে তসলিমা নাসরিন। ফেসবুকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্টও করেছেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে আদৌ তাঁর কলকাতায় ফেরা হবে কিনা তা তিনি জানেন না। তবে কেউ যে তাঁকে কলকাতায় ফেরানোর কথা ভেবেছেন তাতে খুশি হয়েছেন তিনি, একথা প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক পোস্টে।
ফেসবুক পোস্টে কী লিখেছেন তসলিমা
বিতর্কের শুরু তসলিমা নাসরিনের লেখা বই 'দ্বিখণ্ডিত'- কে ঘিরে। এই বইয়ের জন্যই তীব্র রোষের মুখে পড়েছিলেন সাহিত্যিক। কলকাতা ছাড়তে হয় তাঁকে। সময়টা ২০০৭ সাল। ১৮ বছর আগে শহর কলকাতা থেকে কার্যত বিতাড়িত হন তসলিমা। তারপর আর ফেরা হয়নি লেখিকার প্রিয় এই শহরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তসলিমা নাসরিনের ভারতের থাকার রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো আর্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হন বাংলাদেশের সাহিত্যিক। তসলিমার ভারতে থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ এরপর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কলকাতায় ফেরা হয়নি তাঁর।