মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান সফল করতে মরিয়া বিজেপি। প্রতিদিন জেলায় জেলায়, হেভিওয়েট নেতাদের নেতৃত্বে চলছে প্রস্তুতি মিছিল। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে যখন আটঘাট বেঁধে আসরে নামছে বিজেপি, তখন কলকাতা বিজেপি দফতরের অদূরে বৈঠক করলেন একদল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী। 


সুকান্ত মজুমদার থেকে দিলীপ ঘোষ, বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের কথায় রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উঠে এল একের পর এক অভিযোগ।  নিজেদের ‘সাচ্চা’ বিজেপি কর্মী বলে দাবি করছেন বিক্ষুব্ধরা। রবিবারের এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বিজেপি নেতা সমর বিশ্বাস। বিক্ষুব্ধদের দাবি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলকে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। 


বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী মানব ঘোষ বলেন, ' দিলীপ ঘোষ দিনদিন বিজেপিকে ধ্বংস করার পিছনে দায়ী। নবান্ন অভিযানে আমরা কেন যাব সব চিটিংবাজগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় বৈঠক ক‍রে বিজেপির শুদ্ধিকরণের কাজ চালাচ্ছেন' 


বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সমর বিশ্বাস বলেন, ' আমরা গেছিলাম সুকান্ত, সুনীলের কাছে। চিঠি গ্রহণ করেছিল। দেখি এরপর যদি ডাকে।রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে নবান্ন অভিযানে যাচ্ছেন না'


গত পুরভোটে কাঁথি পুরসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন বিদেশ বসু মাইতি। যাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বৈঠকে সামিল হন তিনিও। বলেন, 'আমাদের মণ্ডল সভাপতি যাঁদের হাতে মার খেয়ে খালে পড়তেন, আজ তারা মণ্ডল সভাপতি। আমি পুরভোটে প্রার্থী ছিলাম... কাঁথিতে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করছে তৃণমূল।' 


 এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল শিবির থেকেও এসেছে কটাক্ষ। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন খোঁচা দিয়ে বলেন,  'মনোকষ্ট পাচ্ছি। দিলীপের বিজেপি, সুকান্তর বিজেপি হয়ে শেষ হয়ে যাবে। আগামীতে লড়ব কার সঙ্গে।' 


বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাদের একমাত্র লক্ষ্য নবান্ন ঘেরাও করা। যদিও নবান্ন পর্যন্ত আদৌ পৌঁছতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে গেরুয়া শিবিরে। অতীতে প্রতিবারই নবান্ন অভিযান রুখতে সর্বস্ব শক্তি নিয়ে রাস্তায় থেকেছে পুলিশ। এবার তার কোনও ব্যতিক্রম হবে বলে মনে করছে না বিজেপি। তাই লোকবল বাড়াতে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে তারাও। জেলায় জেলায় একটানা নবান্ন অভিযানের পক্ষে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন দলের নেতারা। ট্রেন ছাড়াও প্রতি জেলা থেকে অন্তত পাঁচটি বাস নিয়ে মিছিলে লোক নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।