অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা :  মঙ্গলবার বিজেপির ( BJP ) নবান্ন চলো কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির গনগনে আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গঙ্গার দুপাড়েই । সেখানে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সেই দ্বৈরথ ভুলেই হাসপাতালে 'মীনাদি'কে দেখতে গেলেন ফিরহাদ। 



মীনাদিকে দেখতে এসেছি, বললেন ফিরহাদ 
 কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। বহুদিন একসঙ্গে পুর সভায় কাজ করছেন ফিরহাদ - মীনা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব পেরিয়ে তাঁকে মীনাদি বলেই ডাকেন ফিরহাদ।  তাই আজ বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতালে  গিয়ে একটিও রাজনৈতিক কথা বললেন না। ফিরহাদ বললেন, রাজনৈতিক দল আলাদা হলেও আমরা বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেছি, তিনি আঘাত পেয়েছেন, তাই তাঁকে দেখতে এসেছি।


আজ সিটি স্ক্যান
মীনাদেবী পুরোহিতের ক্ষত দিয়ে এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কালকের থেকে ভাল আছেন, খবর সূত্রের। তবে আজ  স্ক্যান  করার পরই জানা যাবে ক্এষত কতটা গভীর। এই ঘটনায় পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। এ নিয়ে টুইট করে তারা।


কাল কী ঘটেছিল
হাওড়া ময়দানেও রক্ত ঝরে বিজেপি কর্মীর! মুরলীধর সেন লেনে মাথা ফাটে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর। আহত আরও কয়েকজন। এমজি রোডেও আহত হন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। কাউকে আবার ভ্যানে করে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ৫০ জনের বেশি আহত, হাসপাতালে ভর্তি । ধুন্ধুমারের মধ্যে আহত হন পুলিশ কর্মীরাও!  এম জি রোডে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়।


মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন চলো কর্মসূচির অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি। সেখানে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়া ময়দান। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ছোড়ে। মিছিলে বাধা দিলে, রাস্তায় অবস্থানে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের সেখান থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শিবপুর থানা থেকে বিজেপি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কলকাতায় এমজি রোডের ওপর, লালবাজারের কাছে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় আশেপাশের বহু দোকান। বিজেপি বলছে, তাদের সমর্থকরা আগুন লাগায়নি। যদিও তৃণমূল আঙুল তুলছে তাদের দিকেই।