কলকাতা: বিজেপি-র নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনার পরিবেশ। পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল আটকানোর অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেই আবহে এ বার হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হল (Howrah Bridge)। দিলীপ ঘোষ হাওড়া ব্রিজ দিয়েই নবান্ন অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোবেন বলে বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হল হাওড়া ব্রিজ। তাতে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ।
দিলীপের মিছিল বেরনোর আগে বন্ধ করে দেওয়া হল হাওড়া ব্রিজ
মঙ্গলবার দুপুরে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে কলেজ স্কোয়ার থেকে কলেজ স্ট্রিট মোড় হয়ে এমজি রোড, বড়বাজার হয়ে হাওড়া যাওয়ার কথা বিজেপির একটি মিছিলের। যাত্রাপথে প্রায় ৫ হাজার দলীয় পতাকা লাগিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। কলেজ স্ট্রিটে বিজেপি কর্মীদের মঞ্চ বাঁধতে বাধা পুলিশের। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণ পর মঞ্চ না বেঁধেই ফিরে যান বিজেপি কর্মীরা।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দিলীপ বলেন, "আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি যে, বাংলায় এত পুলিশ এল কোথা থেকে! ঠেলাগাড়ি, গরুর গাড়ি গেলে পুলিশ দেখা য়ায় না। অশান্তি হলে, বোম পড়লে বলে থানায় পুলিশ নেই। এফআইআর লেখাতে গেলেও পুলিশ থাকে না। ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে আমাদের ঠেকাতে পুলিশ আনতে হল নাকি! এত পুলিশ থাকলে বাংলায় এত অপরাধ হচ্ছে কী করে!"
পুলিশি তৎপরতা নিয়ে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ আরও বলেন, "যত দিন যাচ্ছে, সরকারের মনোবল কমে যাচ্ছে। তাই পুলিশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর আগে বহু বছর বাংলায় এত বড় বিরোধীশক্তি ছিল না। সেটা বিজেপি করে দেখিয়েছে। বাংলায় এত বড় দুর্নীতিও হয়নি আগে। বাংলার মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা দেখে। তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে, নির্বাচিত বিরোধী দল হিসেবে এর বিরোধিতায় নেমেছি। সব দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে নবান্ন। তাই নবান্ন অভিযানে যাচ্ছি। কলকাতায় হাওড়ায় মানুষ চলে এলে আটকাতে পারবে না জানে।"
তবে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করা হলেও, হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে বিজেপির তরফে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছে। জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকদের খাওয়ানো হচ্ছে ভাত, ডাল, সবজি।
সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা একাধিক জায়গায়
অন্য দিকে, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে, দফায় দফায় বাধা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে। প্রথমে সোনামুখী স্টেশনের বাইরে আটকানো হয়। ২৫ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে সোনামুখী থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিধায়ক ও বিজেপি কর্মীরা। এরপর পাত্রসায়রের রসুলপুর বাজারে ফের আটকানো হয় বিধায়কের গাড়ি। বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। পাত্রসায়র থানার গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক। এর পর গাড়িতে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।