কলকাতা: নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার আগেই আটক হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার আগে কলকাতাতেই প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয় তাঁকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের সদস্যকে এ ভাবে আটকানো যায় কি না, তা নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলছে গেরুয়া শিবির, সেই সময় শুভেন্দুকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, "শুভেন্দুর দম নেই।"
নবান্ন অভিযানের আগেই আটক শুভেন্দু
মঙ্গলবার পিটিএস-এর কাছেই শুভেন্দুর মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বচসা, তর্কাতর্কির পর প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তাঁকে। সেই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কুণাল বলেন, "এর ভরসায় বেরিয়েছিল! বিজেপি যেভাবে উস্কানি জোগানোর চেষ্টা করছিল, যে ভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে... সূত্র অনুযায়ী, বিপুল টাকা রয়েছে এতে। বিজেপি-রই লোক বলছে ১০-১১ কোটি টাকা। মেহুল চোকসি এবং আর যাঁরা বাইরে চলে গিয়েছেন...বিজেপি-র তো আর ফান্ডের অভাব নেই! সিবিআই-ইডি এ সব তদন্ত করবে না। আমরা আর কত বলব!"
বিজেপি-কে কটাক্ষ করে কুণাল আরও বলেন, "কটাই কথা বলব ওঁদের, আপনারা কৌশল রচনা করতে পারেন না। প্রশাসনিক কৌশলেও আটকে যান। তাতে যে গতি লাগে, নেই আপনাদের। দিলীপবাবু তো বলেছিলেন, বাধা পেলে বসে পড়তে। শুভেন্দু বসলেন না কেন? আমি তৃণমূলের তরফেই বলছি, বসলেন না কেন শুভেন্দু? কারণ ওঁর দম নেই। যে ভিড় ছিল, সেটা পুলিশ এবং মিডিয়া। লোকই নেই ওঁর সঙ্গে। এখন এটাকে ঢাকতে এদিক ওদিক চিঠি দেবে।"
আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে আটক শুভেন্দু, তোলা হল প্রিজন ভ্যানে
মঙ্গলবার তিন দিক থেকে নবান্ন ঘেরার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে জেলায় জেলায় প্রচার চলেছে জোরকদমে। এ দিন সবার আগে শুভেন্দুকে পিটিএস হেস্টিংস থেকে মিছিল নিয়ে নবান্ন অভিমুখে এগোতে দেখা যায়। হাওড়া ব্রিজ হয়ে দিলীপ ঘোষ এবং সাঁতরাগাছি থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল এগোচ্ছে। কিন্তু সবার আগে বেরিয়ে শুরুতেই আটক হয়ে যান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে আটক শুভেন্দু, তোলা হল প্রিজন ভ্যানে
এ দিন শুভেন্দু নেতৃত্বাধীন মিছিলে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাও। তাঁদেরও আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা এবং তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই বিজেপি-কে আটকাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন লকেট। তিনি লোকসভার সাংসদ, শুভেন্দু রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের সদস্য, বিধায়ক, সর্বোপরি বিরোধী দলনেতা, তাঁকে এ ভাবে আটকানোর অধিকার নেই বলে যুক্তি দেন তাঁরা।
লকেট, রাহুলও আটক পুলিশের হাতে
এমনকি এক মহিলা পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে পিছু হটতে বললে ফুঁসে ওঠেন। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, "আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।" ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলতে থাকেন, "আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।"