কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-পুলিশ সংঘর্ষ। জখম হয়েছেন বিজেপির একাধিক কর্মী-সমর্থক। জখম হয়েছেন কলকাতা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মীনাদেবী পুরোহিতের।


জখম পুলিশ:
এমজি রোড থেকে সাঁতরাগাছি। কার্যত উত্তপ্ত বিভিন্ন এলাকা। একাধিক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশও। কারও মাথায়, কারও আবার চোখে আঘাত লেগেছে। 


'আক্রান্ত' তৃণমূল নেতা
নবান্ন অভিযান ঘিরে তমলুক টোল প্লাজা এলাকায় ধুন্ধুমার। তৃণমূল প্রধানকে মাটিতে ফেলে লাথি, মাথায় লাঠির বাড়ি, মুখে ঘুঁসি। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে জামাও। এদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে তমলুক টোল প্লাজার কাছে আটকানো হয় হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে। প্রতিবাদে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন সেখান দিয়ে যাওয়া তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে দেখে তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিঁড়তে বাধা দেওয়ায় হামলা, অভিযোগ তৃণমূল প্রধানের।

সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার:
দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সাঁতরাগাছি। দুপুর থেকে টানা কার্যত অবরূদ্ধ সাঁতরাগাছি। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েও বাগে আনতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে বোতল-ইট ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় রণক্ষেত্র সাঁতরাগাছি (santragachi)। রেললাইনের পাথর (stone) তুলে পুলিশের দিকে ছোড়ার  (pelting) অভিযোগ। তবে শেষমেশ বিক্ষোভকারীরা জানালেন, তাঁরা আপাতত বিক্ষোভ (agitation) মুলতুবি (hold) রাখছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। তার পরই এই সিদ্ধান্ত, দাবি বিজেপি কর্মীদের। সঙ্গে সংযোজন, 'আমাদের নৈতিক জয় (moral victory) হয়েছে। পুলিশ আমাদের সরাতে পারেনি।'


পুলিশের গাড়িতে আগুন:
পুলিশের পিসিআর ভ্যানে আগুন। অয়েল ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা। সেখান থেকে তেল নিয়েই কী আগুন? উঠছে এমনই অভিযোগ। জল দিয়ে আগু নেভান দমকলকর্মীরা। তারপরেই মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসের বাইরে তুমুল ধস্তাধস্তি। তিন আইপিএসের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী যায় ওখানে। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালিয়ে ওখানেই দুষ্কৃতীরা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। গলির মুখে পুলিশবাহিনী ও বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। পুলিশের দিকে জল-ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা।  


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, 'গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভাঙতে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে। বিজেপি আটকাতে ব্যারিকেড ব্যবহার করা হয়েছে।' পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।


আরও পড়ুন:নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সাঁতরাগাছিতে, জলকামান ব্যবহার পুলিশের, পাল্টা ইট-বাঁশ বিজেপির