কলকাতা : বাবুল সুপ্রিয় দলে থাকলে ভাল হত।  আজ কলকাতায় এসে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  সেইসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, দলের দুর্বলতা ছিল বলেই বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয় হয়েছে।  গতকালই দিলীপ ঘোষের জায়গায় বালুরঘাটের সাংসদকে রাজ্য সভাপতির পদে বসিয়েছে বিজেপি।  আজ সকালে তিনি বালুরঘাট থেকে ট্রেনে শিয়ালদা স্টেশনে আসেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি কর্মীরা।  বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, বরং সারা পশ্চিমবঙ্গেই দলের সংগঠন মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য।
আচমকাই সোমবার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হয় দিলীপ ঘোষকে।  নতুন সভাপতি করা হয় উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। ভবানীপুর সহ তিন কেন্দ্রে ভোটের ঠিক মুখে এবং বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মাথায় এই বড় সিদ্ধান্ত নেন মোদি-শাহ-নাড্ডা! রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে

  দিলীপ ঘোষ সরিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আনার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয় । বিজেপিতে থাকাকালীন এই পদে ছিলেন মুকুল রায়। এবার বাংলা থেকে সেই দায়িত্ব পেলেন দিলীপ ঘোষ।
২০২০-র জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মেয়াদ ছিল আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত।  কিন্তু, তার আগেই দিলীপ ঘোষকে সেই পদ থেকে সরিয়ে, সেই জায়গায় আনা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। 
টেলিফোনে এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে টেলিফোনে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ই ভারতীয় জনতা পার্টি এই রাজ্যে সবথেকে বেশি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। তাই তাঁর ও দলের বাকি নেতাদের পরামর্শ প্রয়োজনে পাথেয় করব। কীভাবে তা নেব, তা ক্রমশ প্রকাশ্য।' তিনি আরও বলেন, 'যারা ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করেন, তারা কখনই দল ছাড়বেন না। কেউ হয়তো ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা মনে করায় বা কোনও উদ্দেশ্যে দল ছেড়েছেন। অবশ্যই যারা চলে গেছেন তাদের জন্য খারাপ লাগছে। থাকলে দল শক্তিশালী হত। '