কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সেই আবহেই কলকাতায় এবার পথে নামলপশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। 'দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ' রব তুলে মিছিল এগোয় মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে। সেই মিছিলে পা মেলালেন 'কাশ্মীর ফাইলস' খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রও রয়েছেন মিছিলে। (BJP RG Kar Protests)


আর জি কর কাণ্ডে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি। বুধবার শ্যামবাজারের ধর্নামঞ্চ থেকে কর্মসূচির সূচনা ঘটে। এর পরই মশাল হাতে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থকেরা। এই মিছিলে যোগ দিতেই মুম্বই থেকে কলকাতা ছুটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিবেক। মিছিলে রয়েছেন কৌস্তভ বাগচি, অঞ্জনা বসুরা, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিংহ, তাপস রায়ও। (RG Kar Doctor Death Case)


এদিন কালো টি-শার্ট পরে মিছিলে হাঁটেন শুভেন্দু, যাতে লেখা ছিল, 'দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ'। আরও অনেকের পরনেই ছিল ওই টি-শার্ট। বিজেপি-র সাংস্কৃতিক মঞ্চ 'খোলা হাওয়া'র তরফেই এদিন মিছিল বেরোয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে মিছিল থেকে। মিছিলে শামিল হয়ে বিবেক জানান, আর জি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতেই শহরে এসে পৌঁছেছেন তিনি। এই ঘটনা প্রথম না হলেও, আর জি কর কাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।


এবিপি আনন্দে বিবেক বলেন, "আমাদের সকলের আবেগ জড়িয়ে। সুপ্রিম কোর্ট গতকাল ঠিক করেছে। সময় এসেছে, বাংলাকে আবার মহান, নিরাপদ জায়গা করে তোলার। কলকাতায় এমন হলে, গ্রামে কী হচ্ছে জানি না আমরা। আমার মতো মানুষ, যাঁদের কিছুটা হলেও, প্রভাব রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে সকলের কাছে বার্তা পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন দেখে আশা হারাই আমি। বাংলা শেষ হয়ে যাবে আশঙ্কা থেকেই ছুটে এসেছি।"


মিছিল থেকে এদিন শুভেন্দু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাস্তাটিকে অপবিত্র করে দিয়েছিলেন। আমরা আজ পবিত্র করলাম। ক্লাব, প্রতিষ্ঠান দেখেছিল, আমরা চলে এসেছি। ওদের ক্ষমতা ছিল ৫০০-৭০০। আজ হাঁটল গোটা কলকাতা। কেউ কাউকে ডাকেনি। আমাদের একটাই দাবি, দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।"


তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া তাপস বলেন, "বাংলার সর্বত্র যা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। রাজনৈতিক জীবনে একসঙ্গে এত মানুষকে প্রতিবাদে নামতে দেখিনি।" কৌস্তভ বলেন, "২৭ তারিখ নবান্ন ছেড়ে পালাবে। মমতা রাজ্যকে শান্ত রাখতে চাইলে, রাজ্যের মঙ্গল চাইলে, হেলিকপ্টার, বিমান রেডি রাখুন। নবান্নর ছাদ থেকে চেপে পালান। শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছিলেন, মমতাকেও বাংলা ছেড়ে পালাতে হবে।" অর্জুনও জানান, ২৭ তারিখে নবান্ন ছেড়ে পালাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে, মমতা নন্দীগ্রামে হেরে মুখ্যমন্ত্রী হতেন না মমতা, দাবি তাপসের।