উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শিক্ষায় দুর্নীতি ও অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির অভিযোগে বিধানসভায় বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব। সোমবার মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আজই আলোচনার দাবি।

আদালতে এই বিষয়টি বিচারাধীন থাকায়, আলোচনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিধানসভার অধ্যক্ষের। কিছুক্ষণ পরেই বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। তারপরেই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

সম্প্রতি বিধানসভায় অধিবেশনের মাঝেই সম্প্রীতির ছবি দেখা গিয়েছিল। বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন অশোক লাহিড়ি, মনোজ টিগ্গা এবং অগ্নিমিত্রা পাল। শুভেন্দু এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছিলেন। যদিও সেই সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস-সিপিএম। সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, 'বিধানসভার চেয়ারে বসে আছি, মার্শাল এসে বললেন, আপনি বিরোধী দলনেতা। আপনাকে লিডার অফ দ্য হাউস দেখা করতে চান। কথা বলতে চান। আমি বললাম, এ তো ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমাকে চা খাওয়ার নাম করে একা নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর আমার বিজেপি কর্মী, যাঁরা আমাকে বা আমাদের দেখে আশায় বুক বাঁধছেন, ভাববেন সেটিং হয়ে গেছে। আমি বললাম, শর্ত আছে। আমি বললাম, একাধিক বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সৌজন্য দেখাতে পারি। তিনি শর্তে রাজি হলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা দুই মিনিটের। নমস্কার-প্রতি নমস্কার। আমরা এক কাপ চা-ও গ্রহণ করিনি। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু, আমরা বিজেপি করি। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সংসদীয় রাজনীতির সৌজন্য জানি। আমাদের নরেন্দ্র মোদি সেটা শিখিয়েছেন।'

বারবার তোপ:তারপরে একাধিকবার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের সভা থেকে ফের 'ডিসেম্বর ডেডলাইন' শোনা যায় বিরোধী দলনেতার গলায়। তিনি বলেছিলেন, 'ডিসেম্বর মাসে একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে। এই রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ ডাকাত ডিসেম্বরে ভিতরে ঢুকবে। রাজ্যে কেন্দ্রের সব প্রকল্পের টাকার হিসেব দিতে হবে। হিসেব দিতে না পারলে চোর ধরো, জেল ভরো।' বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তারপরে সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোটা ক্যাবিনেটকে গ্রেফতার করার দাবি জানান শুভেন্দু।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল, আদালতে নিয়ে আসার সময় মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের