বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: বিজেপি (BJP) করার অপরাধে আবাস যোজনার (Awas Yojana) বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ। পাঁশকুড়া পৌরসভা ও দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) ক্যাম্পে ঘুরেও মিলছে না বাড়ি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ভগ্নপ্রায় বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন চন্দন রায়ের পরিবারকে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র।
আগামী মাসেই শেষ হচ্ছে পাঁশকুড়া পুরসভার মেয়াদ। আর পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা চন্দন রায়ের পরিবারের অভিযোগ,গত বিধানসভা ভোটে চন্দন বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন তাই পৌরসভা ও পৌরপ্রধানকে জানিয়েও মিলছে না আবাস যোজনার বাড়ি।বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ধরেছে ফাটল। দুঃশ্চিন্তায় সময় কাটছে তাদের। দুই সন্তান, স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে এই ভাঙাচোরা ঘরেই দিনকাটছে চন্দনের। নেই সাধ্য তাই বাড়ি নির্মাণ করতেও পারছে না। তাই প্রতীক্ষায় রয়েছে আবাস যোজনার বাড়ির। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার কনভেনার তথা পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা প্রতীক পাখিরার দাবি, "এরা যে বেশি টাকা দেবে তাকেই ঘর দেবে। গরিব মানুষ মানে টাকা দিতে পারবে না। যার দোতলা বাড়ি আছে যে ১ লাখ টাকা কাটমানি দিতে পারবে তাকেই দেবে বাড়ি। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। পুরো দলটাই কাটমানির উপরে দাঁড়িয়ে আছে।"
যদিও বিজেপির কটাক্ষকে মানতে নারাজ শাসকদল। পাঁশকুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নন্দ মিশ্র বলেন-" পাঁশকুড়া পৌরসভায় আমরা কখনো কোন দলবাজি করিনি। একসঙ্গে তো সব ঘরের কৌটা পাওয়া যায় না। বিষয়টি শুনলাম নিশ্চিত খোঁজখবর নেব।
বিজেপির মিছিলে না যাওয়ার মাসুল? তার জেরে মারধরেই কি হারাতে হল প্রাণ? হুগলির পাণ্ডুয়ায় ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে জোরাল হচ্ছে এমনই প্রশ্ন। রবিবার চুঁচুড়ায় ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি। খাদিনা মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত সেই মিছিলে হাঁটেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।