কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক বিজেপির (BJP)। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ কমিটি ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির’। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। সংগঠনকে মজবুত করা থেকে শুরু করে জোর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী বাছাইয়ে। একইসঙ্গে সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারিও শোনা গেল বিজেপি নেতাদের গলায়। শাসকদল যদিও গেরুয়া শিবিরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘রিগিং রুখতে আলাদা কৌশল নেওয়া হচ্ছে। গতবারের মতো পরিস্থিতি এবার আর হবে না। দুর্নীতি ইস্যুতেও শাসকদলকে বিপাকে ফেলার রণনীতি বিজেপির। সিএএ-এনআরসি ইস্যুতেও সরব হবে দল, এমনটাই দাবি।'
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রবিবার থেকে হেস্টিংসে শুরু হয়েছে দু’দিনের বৈঠক। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলের একাধিক সাংসদ ও অন্যান্য পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে একটি কমিটি তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির। যাঁর মাথায় রয়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য করে প্রত্যেক জেলায় একজনকে ইনচার্জ করা হবে। সংগঠনকে মজবুত করতে বুথ কমিটি তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি।
এদিকে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একাধিক। ৫০০ সমর্থককে নিয়ে, বিজেপিতে যোগ দিলেন, যুব তৃণমূলের দার্জিলিঙের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ সরকার। এদিন তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সাজছে সরকারি টাকায়! অভিযোগ শুভেন্দুর
২০১৯-এ কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেন, বিকাশ সরকার। এরপর, তাঁকে দার্জিলিঙের যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। গত পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে, শিলিগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে দাঁড়ান তিনি। মাত্র ১১ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। এর কয়েকমাসের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন বিকাশ সরকার।
এদিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বিজেপির অনেক টাকা আছে। রাজ্যে প্রচারে যেই আসুন, বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে হারবে।