দীপক ঘোষ ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: “বিধানসভায় অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, আগে এরকম দেখেনি।’’ এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় নজিরবিহীন বিজেপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া মমতার। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের বিধায়করা বারবার রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন। এরকম কখনও হয়নি, রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজেপি যে অসভ্যতা, অভদ্রতা করল, হেরেও লজ্জা নেই। নিজের ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি, হেরে গিয়ে নাটক। বিধানসভায় পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে বিজেপি।’’


রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি। আলাদা করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এদিন বিধানসভার ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


বিক্ষোভের মধ্যেই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালনের অনুরোধ করা হয়। ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  “ভাষণ না পড়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল, হাতজোড় করে অনুরোধ করেছি। বিজেপি গণতন্ত্র মানে না, আমরা রাষ্ট্রপতিকেও সম্মান জানাই। রাজ্যপাল যাতে ভাষণ না পড়েন, অধিবেশন শুরু নয়, তার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ভাষণের শেষ লাইন পড়েছেন রাজ্যপাল, এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ।''


বারবার ভাষণ শুরু করতে দিতে অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। বাধা পেয়ে রাজ্যপাল ছাড়তে চান বিধানসভা কক্ষ। বাধা দেনন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। বিধানসভার সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিধানসভার স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল আলাদা করে কথা বলতে ডেকে পাঠান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজভবন যান মুখ্যমন্ত্রী। বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকেও বয়কট করে বিজেপি।